বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, এই দানবীয় সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে এ কথা বিএনপি আগেও বলে বলেছিল এখনো বলছে। আওয়ামী লুটেরাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না। রাতের ভোটের সরকারের মুখে মানুষের বাক-স্বাধীনতার কথা মানায় না, ভোটচোরের সরকারের মুখে অবাধ নির্বাচনের কথা মানায় না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর মুক্তির দাবিতে এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন।
মির্জা আব্বাস বলেন, কাদের সাহেব বলেছেন- নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হওয়ার অবস্থা সংবিধানে নেই। আমরা বলতে চাই নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হতে হবে। কারণ তত্ত্বাবধায়ক সরকার এই সংবিধানেই ছিল। এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার জামায়াত এবং আওয়ামী লীগের দাবি নিয়েই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই মুহূর্তে তত্ত্বাবধায়ক সরকার করার দাবি ছিল জামায়াত এবং আওয়ামী লীগের।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে আজকে স্মরণ করতে হয়। কারণ উনি দেশকে ভালোবাসেন। উনিও পারতেন গোলাগুলি খুনাখুনি করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে, কিন্তু উনি সেটা করেননি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংবিধানে সংযুক্ত করলেন। নির্বাচন দিলেন, সেই নির্বাচনে আপনারা (আওয়ামী লীগ) পাস করলেন। এরপর আপনারা ক্ষমতায় এসে সেই সংবিধান কাটাছেঁড়া করে ১২টা বাজিয়ে দিয়ে এখন সেখান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে দিয়েছেন। আবার বলছেন সংবিধানের বাইরে কোনো নির্বাচন করার অবস্থা নেই। আমরাও বলতে চাই সংবিধানের বাইরে যেতে চাই না, আমরা চাই যে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল, সেই সংবিধানই আপনারা করবেন। যে সংবিধান আছে সেই সংবিধান নয়। যেই সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল সেই সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে সমাবেশে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, ঢাকা দক্ষিণের রফিকুল আলম মজনু, স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজীব আহসান, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, ওলামা দলের অধ্যক্ষ মাওলানা নজরুল ইসলাম তালুকদার, জাসাসের হেলাল খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত