ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

দিনাজপুরে ৬শ মেট্রিক টন সজনে ডাঁটার ফলন পাওয়ার সম্ভাবনা
দিনাজপুর প্রতিনিধি

বাজারে চাহিদা ও ভাল দাম পাওয়ায় দিনাজপুর অঞ্চলের কৃষকরা বেশি পরিমাণে সজনের চাষ করছেন। দিনাজপুরের মধ্যে ঘোড়াঘাটে এই সজনে চাষ শুরু হয়েছে অধিক। আর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর সজনে বিক্রি করে লাভবান হবেন কৃষকরা।

এবার ঘোড়াঘাট পৌরসভাসহ ৪টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে বাড়ির আশপাশের সীমানায়, পুকুর পাড়, রাস্তার দু’পাশে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন আঁশ জাতীয় সবজি সজনের বাম্পার ফলন হয়েছে। এবার ৬০০ মেট্রিক টন সজনে উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।

মৌসুমের শুরুতে প্রতি কেজি সজনে ৮০-১০০ টাকা দরে বিক্রি হলেও শেষ সময়ে দাম কমে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকায়। চৈত্র মাসে শুরু হয় সুস্বাদু সাজনে খাওয়ার উপযোগী। এই সাজনে আষাঢ় মাস পর্যন্ত পাওয়া যায়।

ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে প্রায় ৬০ হেক্টর অকৃষি বা পতিত জমিতে মৌসুমী ও বারোমাসি জাতের সজনার চাষ হয়েছে। এতে ৬০০ মেট্রিক টন সজনে উৎপাদনের সম্ভবনা আছে। এক সময় বাড়ির আশপাশে সজনের গাছ লাগানো হলেও সময়ের প্রয়োজনে ও বাজারে চাহিদায় কৃষকরা বেশি পরিমাণে সজনের চাষ করছেন। 

ঘোড়াঘাট পৌর এলাকার সিদ্দিক মিয়া জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর সজনের ভালো ফলন হয়েছে। পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি সজনে বাজারে বিক্রি করতে পারব।

বুলাকিপুর ইউপির বলগাড়ী এলাকার আব্দুল কাদের বলেন, বাড়ির উঠানে তিনটি সজনে গাছ আছে। এ থেকে গত বছরে ৫ হাজার টাকার সজনে বিক্রি করেছিলাম, এ বছর এর চেয়ে বেশি দামে সজনে বিক্রি করতে পারব।

ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থা কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. পার্থ জ্বীময় সরকার বলেন, সজনের ডাটায় ক্যালসিয়াম, খনিজ, লবণ, আয়রনসহ প্রোটিনযুক্ত ভিটামিন এ,বি,সি সমৃদ্ধ যা মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী। শরীরে পুষ্টির জন্য গর্ভবতী, প্রসূতি মেয়ের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে বলে ওষধি গুণাগুণ সম্পন্ন  সবজি হিসাবে এর চাহিদা ব্যাপক।

ঘোড়াঘাট উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা রফিকুজ্জামান বলেন, সজনে মাতৃগাছ থেকে ডাল সংগ্রহ করে চারা রোপণ করা হয়। সজনের তেমন কোনো রোগ-বালাই নেই এবং সজনে চাষে খরচ নেই বললেই চলে। তিনি বলেন, এটি একটি লাভজনক ফসল এবং এটির ওষধি গুণাগুণও আছে। এছাড়া সজনে পাতা ও ডাটা রোদে শুকিয়ে গুড়া করে ওষুধ হিসেবে খাওয়া যায়।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল



এই পাতার আরো খবর