নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জোড়াতালি দিয়ে চলছে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম। বিশেষ করে এখানে জনবল সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। বিভিন্ন বিভাগে অন্তত ৬৬টি পদ শূন্য রয়েছে। রয়েছে আরও নানা সমস্যা। এতে পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা সেবার সুফল বঞ্চিত উপজেলাবাসী।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নাঙ্গলকোট কুমিল্লার একটি বৃহৎ উপজেলা। এখানে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বিনামূল্যে চিকিৎসার একমাত্র প্রতিষ্ঠান নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্স। ২০০৫ সালে ৩০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমক্সেটি ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। ওই সময় উন্নত সেবার জন্য প্রায় আট কোটি টাকা ব্যয়ে একটি হাসপাতাল ভবন ও কয়েকটি আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হয়। রোগ নির্ণয়ের জন্য এখানে উন্নত একটি এক্স-রে মেশিন স্থাপন করা হয়। তবে জনবলসহ নানা সমস্যার কারণে মেশিনটি ১৮ বছর বন্ধ থাকায় বিকল ঘোষণা করা হয়। গত ছয়মাস আগে একটি নতুন এক্স-রে মেশিন স্থাপন করা হলেও চালু হয় গত মাসে। তাও আবার সাপ্তাহে মাত্র দুই দিন বিভাগটি খোলা থাকে।
হাসপাতালটিতে সার্জারি, মেডিসিন, চক্ষু, ইএনটি, কার্ডিওলজি, অর্থো-সার্জারি, চর্ম ও যৌন, নার্স ও টেকনিশিয়ানসহ ৬৬টি পদ খালি রয়েছে। এতে করে প্রত্যাশিত চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত উপজেলাবাসী।
অযত্ন-অবহেলার কারণে হসপাতালের পুরাতন ভবনের দেওয়াল থেকে খসে পড়ছে পলেস্তারা। শিশু ও মহিলা ওয়ার্ডের টয়লেটের দরজা জানালা ভাঙা। নোংরা বেডসিট থেকে চিকিৎসা নেন রোগীরা। রোগীদের নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করার রয়েছে অভিযোগ।
নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেবদাস দেব বলেন, লোকবল সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। নিম্নমানের খাবার পরিবেশনের বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান। বিডি প্রতিদিন/হিমেল