ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

নিকলীর ছাতিরচর রক্ষায় ৫২ কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁধ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা নিকলীর ছাতিরচর ইউনিয়ন রক্ষা বাঁধের কাজ উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনের সংসদ সদস্য আফজাল হোসেন। 

নিকলী উপজেলার ছাতিরচর ইউনিয়নটির চারদিকে হাওর রয়েছে। প্রতি বছরই এই ইউনিয়নটির বিভিন্ন এলাকায় ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়। ইউনিয়নবাসীর দাবি ছিল একটি প্রতিরক্ষা বাঁধের। এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ঘোড়াউত্রা নদীর তীর প্রতিরক্ষা কাজ, ওয়েভ প্রটেকশন খাল পুনঃখনন প্রকল্পের আওতায় ছাতিরচর ইউনিয়নে ১ হাজার ৪০০ মিটার স্থায়ী প্রতিরক্ষা কাজের উদ্বোধন করা হয়। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২ কোটি ১৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, জেলা আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট জিল্লুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ, নিকলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কারার সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আসাদুল হক লিটন, নিকলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস ভূঁইয়া জনি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. শাকিলা পারভীন, ছাতিরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান চৌধুরী ইয়ার খান, উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান রিয়াজুল হক আয়াজ, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান রেজিয়া আক্তার প্রমুখ। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান। সার্বিক সমন্বয় ও তত্ত্বাবধানে ছিলেন কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মতিউর রহমান।

কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মতিউর রহমান জানান, আধুনিক পদ্ধতিতে জিও টিউব, সিসি ব্লকের মাধ্যমে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। আশা করি এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে এই এলাকায় আর ভাঙ্গন দেখা যাবে না। ১ হাজার ৪০০ মিটার স্থায়ী প্রতিরক্ষা বাঁধের কাজ শেষ করতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২ কোটি ১৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য আফজল হোসেন বলেন, আজকে ১৪ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই এতো উন্নয়ন হয়েছে। আগামী দিনেও আপনারা নৌকায় ভোট দিবেন, তাহলেই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। একটি ইউনিয়নের জন্যই ৫২ কোটি ১৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। আপনারা যদি গত নির্বাচনে আমাকে ভোট না দিতেন, তাহলে এই প্রকল্প আসতো না। এত বড় প্রকল্প দেয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত



এই পাতার আরো খবর