ঢাকা, সোমবার, ২২ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

শিক্ষককে মারধরের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের ছাতারপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক সহিদুল হককে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিদ্যালয়ের  শিক্ষার্থীরা। এ মারধরের ঘটনায় দৌলতপুর থানায় একটি এজাহার দাখিল করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষকের ছেলে তানভীর মাহমুদ। 

বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের ছাতারপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্ত্বরে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মচারী এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ অভিভাবকরা অংশ নেয়। 

জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার সময় ছাতারপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক সহিদুল হক (৫৭) বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে বসে ছিলেন। এ সময় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তহমিদুর রহমানের নির্দেশে অভিভাবক সদস্য জয়নাল আবেদিন এবং চতুর্থ শ্রেণির সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারী আশিক ইসলাম শিক্ষক সহিদুল ইসলামের উপর দেশীয় অস্ত্র ও রড দিয়ে হামলা চালায়। এসময় তাকে মাথায় রক্তাক্ত করে আহত করেন। সহকর্মীরা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করে। 

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী ছাতারপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রিয়াজুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশে সঞ্চালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন সহকারী শিক্ষক সহিদুল ইসলাম। এসময় তিনি বক্তব্য দেওয়ার জন্য বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য জয়নাল আবেদীনকে আহবান জানান। এসময় জয়নাল আবেদীন ওই শিক্ষকের উপরে ক্ষুদ্ধ হয়। পরে বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য জয়নাল আবেদীন, আজিজুল হক ও আলিহিম সভাপতি তহমিদুর রহমানকে নিয়ে অফিস কক্ষে শিক্ষক সহিদুল ইসলামের উপরে চড়াও হয়। এক পর্যায়ে আলিহিমের ছেলে বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারী (নিরাপত্তা কর্মী) লোহার রড দিয়ে শিক্ষক সহিদুলকে রক্তাক্ত জখম করে। এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদের পাশাপাশি তারা দোষীদের শাস্তির দাবি জানায়। সেই সাথে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তহমিদুর রহমানের অপসারণের দাবি জানায়। 

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক নূরে আলম ফরহাদ, অফিস সহকারী শিবলী আল ফারুকী, আরমান আলী, শিক্ষার্থী সাজ্জাদ মাহমুদ লিমন, জেনিফা তাসনিম, সোহানুর রহমনার, মায়া খাতুন প্রমুখ।  এদিকে হামলার ঘটনায় তিন জনের নাম উল্লেখসহ আরো কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে দৌলতপুর থানায় একটি এজাহার দিয়েছেন আহত শিক্ষকের ছেলে তানভীর মাহমুদ। দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেলে একটি মামলা হয়েছে দৌলতপুর থানায়। আমরা অভিযুক্ত তহমিদুর রহমানকে গ্রেফতার করেছি। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/এএ



এই পাতার আরো খবর