ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ট্যাব বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানকে শোকজ
অনলাইন ডেস্ক
ট্যাব

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ট্যাব বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আফছার আলী রানা ও মাগুড়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার কেএম জাকির হোসেন।

নোটিশ দেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল আলম। আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তাদেরকে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার স্বাক্ষরিত এক পত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

কারণ দর্শানোর নোটিশ সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ট্যাব মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলায় ২য় পর্যায়ে মাদ্রাসা ক্ষেত্রে ১ম হতে ৩য় এবং বিদ্যালয় ক্ষেত্রে ১ম হতে ৫ম শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণের জন্য তালিকা করতে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা প্রদত্ত মেধাবীদের তালিকা বিধি মোতাবেক জমা দেন। 

গত ১৩ জুলাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে ১৫৩টি ট্যাব বিতরণ করা হয়। কিন্তু দিলপাশার ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফসার আলী রানা ও  মাগুড়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার কেএম জাকির হোসেন মেধাবীদের নামের তালিকা না করে ৯ম ও ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করে ট্যাব বিতরণ করেন। পরে বঞ্চিত মেধাবীদের অভিভাবকেরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খানের নিকট মৌখিক অভিযোগ করেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শেষে মেধাবীদের তালিকায় অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পান এবং যাচাই বাছাই শেষে প্রকৃত মেধাবীদের মাঝে ওই প্রতিষ্ঠানে বরাদ্দকৃত ট্যাবগুলো বিতরণ করা হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফসার আলী রানা বলেন, পরীক্ষা দিয়েছে পাঁচজন। আর অনুপস্থিত ছিল পাঁচজন। এ কারণে তাদের পরের ছাত্রদের নাম তালিকা করে দেয়া হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে ইউএনও স্যার আমাদের ডেকেছিলেন। আমরা ট্যাবগুলো ইউএনও স্যারের কাছে জমা দিয়েছি।

এ বিষয়ে মাদ্রাসার সুপার কেএম জাকির হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

ইউএনও নাহিদ হাসান খান বলেন, বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওই দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান সরকারি সিদ্ধান্তের পরিপন্থী কাজ করার কারণে তাদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তিন কর্মদিবসের মধ্যে তাদেরকে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে এবং না দিলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল



এই পাতার আরো খবর