ঢাকা, বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

লাকসামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
লাকসাম প্রতিনিধি

কুমিল্লার লাকসামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে ১৫টি দোকান ও গোডাউন। 

শুক্রবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে লাকসাম দৌলতগঞ্জ বাজারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দৌলতগঞ্জ বাজারস্থ লাকসাম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মসজিদের বিপরীতে মালামালের একটি গোডাউন থেকে প্রচুর পরিমাণে ধোঁয়া বের হতে দেখে স্থানীয়রা লাকসাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে খবর দেন। দমকল বাহিনীর সদস্যরা আসার আগেই ওই গোডাউন থেকে মুহূর্তের মধ্যে পার্শ্ববর্তী দোকান ও গোডাউনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

সংবাদ পেয়ে লাকসাম দমকল বাহিনীর কর্মীরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পৌঁছে আগুন নেভানোর চেষ্টা শুরু করে। পরে কুমিল্লা, চৌদ্দগ্রাম এবং ইপিজেড থেকে দমকল বাহিনীর কর্মীরা এসে তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়। ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিরা ও সাধারণ মানুষ আগুন নেভাতে সহায়তা করেন। দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা পর যৌথ প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ১৫টি দোকান ও মালামালের গোডাউন পুড়ে যায়। শুক্রবার সাপ্তাহিক বন্ধের কারণে প্রতিষ্ঠানগুলোতে কোনো ব্যবসায়ী বা কর্মচারি ছিলেন না। আগুনের লেলিহান শিখা দাউ দাউ করে জ্বলতে দেখে বাজারের ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান ও গোডাউন সমূহের মধ্যে রয়েছে, সালেহা ট্রেডার্স ও গোডাউন, মিজান সাইকেল দোকান ও গোডাউন, কবির সাইকেল দোকান ও গোডাউন, নিউ কবির পুষ্প, আনোয়ার চা দোকান, রাহীম স্পোর্টস ও মেসার্স জনি ষ্টোর। 

অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ পেয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ব‍্যবসায়ীদের প্রতি সমবেদনা জানান।

অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে অন্যান্যদের মধ্যে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন লাকসাম পৌরসভা মেয়র অধ‍্যাপক মো. আবুল খায়ের, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাহফুজা মতিন, উপজেলা ভাইস পরিষদ চেয়ারম্যান মহব্বত আলী, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারহানুর রহমান, পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুমিত সাহা, লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবদুল্লাহ আল মাহফুজ, ইউপি চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন শামীমসহ পৌরসভার কাউন্সিলরবৃন্দ। 

লাকসাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা শাহাদাৎ হোসেন জানান, খবর পেয়ে লাকসাম দৌলতগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। পরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম ও ইপিজেড ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তদন্ত করে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাতের কারণ জানানো হবে।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন



এই পাতার আরো খবর