ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

মাদক কারবারির বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় মারধর!
ফেনী প্রতিনিধি

মাদকের আস্তানা ও মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে পুলিশকে অবহিত করার কারণে আফিয়া খাতুন নামে এক বৃদ্ধাকে পিটিয়ে দাঁত ফেলে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃদ্ধাকে তার বসতঘরে যেতে বাধা সৃষ্টি করছে বলেও অভিযোগ করেছেন  তিনি।  

মঙ্গলবার ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী এমন অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হামলায় আহত আফিয়া খাতুন। ভুক্তভোগী আফিয়া খাতুন ছাগলনাইয়া উপজেলার সমিতিবাজারের নিজকুঞ্জরা গ্রামের নুর আহাম্মদ মাস্টার বাড়ির বাসিন্দা।

লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী জানান, আমার পরিবারে আমি ছাড়া আর কেউ নেই। গত কয়েক মাস যাবত আমার নিজ বাড়ি ও তার আশেপাশে স্থানীয কিছু মাদক কারবারি মাদক ব্যবসা করে আসছে । তারা আমার ঘরে কেউ না থাকায় সেখানে মাদক রেখে ব্যবসা করার চেষ্টা করে। এতে আমি বাধা দিলে তারা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়। বহু দিন ধরে সমিতি বাজার থেকে মাদক বিক্রি করে আসছে অভিযুক্ত মাদক কারবারিরা। মাদক বিক্রির কারণে ক্রেতা বিক্রেতাদের দিনরাত চলাচলের কারণে আমার বাড়ির নারী-পুরুষদের স্বাভাবিক কাজকর্মে আঘাত সৃষ্টি হতে থাকে। রাত-বিরাতে মাদকাসক্তদের কারণে ঘরে থেকে বের হতে পারি না।

অবশেষে গত ১৭ জুলাই জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে ঘটনাটি অবহিত করলে তিনি আমাকে ছাগলনাইয়া থানায় একটি চিরকুট লিখে পাঠান। সেখান থেকে ছাগলনাইয়া থানা পুলিশ আমাকে ঘোপাল তদন্ত কেন্দ্রে পাঠায়। আমি সেখানে কর্মরত ইনচার্জকে ঘটনার বিবরণ দিলে তিনি তুলিশ পাঠিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করে। তবে মাদক কারবারি কাউকে আটক করতে পারেনি।

এদিকে পুলিশকে জানানোর কারণে মাদক কারবারীরা পর দিন আমাকে ঘর থেকে চুল ধরে টেনে বের করে মারতে থাকে। তারা আমার পরনের জামা ছিঁড়ে ফেলে ও মারধর করে। তাদের কাঠের আঘাতে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। এতে আমার একটি দাঁতও পড়ে যায় । শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত পাই এবং আমি গুরুতর আহতাবস্থায় ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একদিন ভর্তি থাকি। এখন আমি মাদক কারবারিদের ভয়ে বাড়িতে যেতে পারছি না।

তারা আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। আমি এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে বললেও কোন লাভ হয়নি। বর্তমানে আমি ফেনীতে আমার এক আত্মীয়ের বাসায় বসবাস করছি। মাদক কারবারিদের মূলহোতা জোবায়ের হোসেন পারভেজ, তাকে সহযোগিতা করে শাহাজান ও তার ছেলে, মাসুদ রানা, ইকবাল, সাজ্জাদ হোসেন আকিব, মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, জিসান, মুজাহিদ, আশিক ও মেহেদী। পুলিশ তাদেরকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই মাদক পাচার ও মাদকাসক্তদের তালিকা বেরিয়ে আসবে বলে তিনি জানান।

বিডি প্রতিদিন/এএ



এই পাতার আরো খবর