ঢাকা, সোমবার, ১ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

দুর্নীতির দায়ে শাস্তি পাচ্ছেন স্যামুয়েলস
অনলাইন ডেস্ক

বড় শাস্তি অপেক্ষা করছে মারলন স্যামুয়েলসের সামনে। এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) দুর্নীতিবিরোধী আইনের চারটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী তারকা।

২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে স্যামুয়েলসকে অভিযুক্ত করেছিল আইসিসি। দুর্নীতিবিরোধী স্বাধীন একটি ট্রাইব্যুনালে শুনানির পর তাকে দোষী সাব্যস্ত করে। শুনানিতে স্যামুয়েলস নিজের অধিকার প্রয়োগ করেছেন বলেও বুধবার (১৬ আগস্ট) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আইসিসি। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্কের ভিত্তিতে তার শাস্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ট্রাইব্যুনাল।

স্যামুয়েলসের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি ছিল ২০১৯ সালের আবু ধাবি টি-টেন টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের সঙ্গে সম্পর্কিত। সেবার কর্নাটক টাস্কার্সের স্কোয়াডে ছিলেন তিনি। যদিও কোনো ম্যাচ খেলতে পারেননি স্যামুয়েলস।

৪২ বছর বয়সী স্যামুয়েলসের বিরুদ্ধে যে চারটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয় তার প্রথমটি হলো- ক্রিকেটকে কলঙ্কিত করতে পারে এমন পরিস্থিতিতে কারও কাছ থেকে পাওয়া কোনো উপহার, অর্থ, আতিথেয়তা কিংবা অন্য সুবিধাপ্রাপ্তির কথা দুর্নীতিবিরোধী কর্মকর্তার কাছে প্রকাশ না করা। দ্বিতীয়টি- ৭৫০ ডলার বা তার বেশি মূল্যের আতিথেয়তার রিসিট না দেখানো। তৃতীয়টি- দুর্নীতিবিরোধী কর্মকর্তার তদন্তে সহায়তা না করা এবং আরেকটি- তদন্তের জন্য প্রাসঙ্গিক হতে পারে এমন তথ্য গোপন করে দুর্নীতিবিরোধী কর্মকর্তার তদন্তে বাধা বা বিলম্বিত করা। ট্রাইব্যুনাল তাকে চারটি ক্ষেত্রেই দোষী সাব্যস্ত করেছে, প্রথমটি সংখ্যাগরিষ্ঠতার সিদ্ধান্তে এবং অন্য তিনটি সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে।

২০২০ সালের নভেম্বরে পেশাদার ক্রিকেট থেকে অবসর নেন স্যামুয়েলস। অমিত সম্ভাবনাময় একজন হিসেবে ২০০০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন তিনি। দেশের হয়ে খেলেছেন ৭১ টেস্ট, ২০৭ ওয়ানডে ও ৬৭ টি-টোয়েন্টি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৭ সেঞ্চুরিতে রান করেছেন ১১ হাজারের বেশি।

তার ক্যারিয়ারের বড় অংশ জুড়ে ছিল অবশ্য সহজাত প্রতিভার স্ফূরণ এবং একই সঙ্গে বিতর্ক। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অধ্যায় অবশ্যই ২০১২ ও ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ‘ম্যান অব দা ম্যাচ’ হওয়া। বিতর্কের কারণেই হয়তো পূর্ণতা পায়নি তার সম্ভাবনার। আরও বড় সমস্যা ছিল শৃঙ্খলায়। ২০০২ সালে ভারত সফরে খবরের শিরোনাম হন টিম কারফিউ ভেঙে। ২০০৮ সালে আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী ধারা ভঙ্গ করে নিষিদ্ধ হন দুই বছরের জন্য।

এছাড়াও বিগ ব্যাশে শেন ওয়ার্নের দিকে ব্যাট ছুড়ে মারা, ওয়ার্নের সঙ্গে পরেও নানা বিতর্ক, বেন স্টোকসের সঙ্গে লড়াই এবং আরও নানা বিতর্কে স্যামুয়েলস আলোচনায় ছিলেন নিয়মিতই।

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ 



এই পাতার আরো খবর