ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ভুল চিকিৎসার অভিযোগে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা
পিরোজপুর প্রতিনিধি

পিরোজপুরে এক প্রসূতি নারীকে ভুল চিকিৎসায় শরীরের বিভিন্ন স্থানে পচন ধরাসহ চোখ  নষ্ট হওয়ার কারণে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চিকিৎসক জান্নাতুল মাওয়ার বিরুদ্ধে পিরোজপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম রসুলের আদালতে মামলা দায়ের করেন প্রসূতি নারীর স্বামী মো: হযরত আলী। আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে এ বিষয়ে পিরোজপুরের সিভিল সার্জনকে তদন্তের নির্দেশ দেন। ভুক্তভোগী নারী ফতেমা বেগম (২৫) পিরোজপুর পৌরসভার পশ্চিম শিকারপুর এলাকার দিনমজুর মো: হযরত আলীর স্ত্রী। 

বাদীপক্ষের আইনজীবী আবু সালেহ ওমান জানান, প্রসূতি নারী ফতেমা বেগমকে বাচ্চা  প্রসবের পরে ভুল চিকিৎসা করে ওভার ডোজ ওষুধ দেয়ায় শরীরের বিভিন্ন স্থানে পচন ধরা ও চোখ নষ্ট করার অভিযোগে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের গাইনি বিভাগের ডাক্তার  জান্নাতুল মাওয়ার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন স্বামী মো: হযরত আলী। চলতি বছরের ৩১ মার্চ মুসলিম এইড কমিউনিটি হাসপাতালে অভিযুক্ত ডাক্তার জান্নাতুল মাওয়া ভিকটিম ফাতেমাকে সিজার করে পরবর্তীতে ওষুধ দেন। ওষুধ সেবনের পর থেকে ফাতেমার মুখমন্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে ওঠে পচন ধরে। মুখমন্ডল ও চোখের পর্দা ফুটো হয়ে যায়। বারবার ডাক্তারের কাছে গেলেও তিনি কোন রকম সেবা না করে ঢাকায় রেফার্ড করে দেন। ডাক্তার জান্নাতুল মাওয়া অপচিকিৎসা ও অবহেলা করে রোগীর জীবন হুমকিতে ফেলার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। 

মামলার বাদী  স্বামী মো: হযরত আলী জানান, বাচ্চা প্রসবের আগে ও পরে রোগী ডাক্তার  জান্নাতুল মাওয়া এর তত্ত্বাবধানে ছিলো। ডাক্তারের ভুল চিকিৎসা অতিরিক্ত ওষুধ প্রদান ও অবহেলায় রোগীর অবস্থা মৃতপ্রায়। তার মুখমন্ডলে পচন ধরে গেছে চোখের পাতা ছিদ্র হয়ে গেছে। রোগীকে শেষ পর্যায়ে তিনি রেফার্ড করেছেন। আমরা ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায়  চিকিৎসা করেও আজ ব্যর্থ। তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম এখন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন। তাই অপচিকিৎসার বিচার চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন তিনি। তবে অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা: জান্নাতুল মাওয়া জানান, তার চিকিৎসায় কোন ভুল ছিলো না। তবে রোগীর ওষুধের সকল কাগজপত্র দেখে বিস্তারিত জানাবেন।        

বিডি প্রতিদিন/এএ



এই পাতার আরো খবর