ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

অপহরণের পর হত্যা, অভিযুক্তকে পুলিশ থেকে ছিনিয়ে পিটিয়ে মারল জনতা
অনলাইন ডেস্ক
হৃদয়

মুক্তিপণ দিয়েও রক্ষা করা গেল না রাউজানের শিবলী সাদিক হৃদয়কে (২০)। অপহরণের ১৩ দিন পর আজ সোমবার সকালে রাউজানের কদলপুর-রাঙ্গুনিয়া সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকা থেকে পুলিশ হৃদয়ের ক্ষত-বিক্ষত ও খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করেছে।

এদিকে লাশ উদ্ধার করতে গিয়ে উত্তেজিত জনতার রোষানলে পড়ে পুলিশ। জনতা পুলিশের হাতে আটক অভিযুক্ত হত্যাকারীকে কেড়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে।

কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহতও হয়েছেন। এ ছাড়া পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করেছে জনতা। এর আগে গত ২৮ আগস্ট রাতে কদলপুরের একটি মুরগি খামার থেকে অপহরণের পর দাবি অনুযায়ী দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ প্রদান করলেও কলেজ শিক্ষার্থী হৃদয়কে অপহরণকারীরা মুক্তি দেয়নি। অপহৃত কলেজ শিক্ষার্থী হৃদয় উপজেলার ৮ নম্বর কদলপুর ইউনিয়নের পঞ্চপাড়ার গ্রামের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মো. শফিক ড্রাইভারের ছেলে।

হৃদয় কদলপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি ওই মুরগির খামারে ম্যানেজার হিসেবে চাকরি করতেন। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, হৃদয় যে মুরগির খামারে চাকরি করতেন সেখানে সবাই ছিলেন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর। মুরগির খামারে চাকরি করা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর যুবকদের দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

সেখানে দুই মাস আগে চাকরি করা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর যুবকদের সঙ্গে হৃদয়ের ঝগড়া হয়। পরে মুরগির খামারের মালিকরা তাদের মিলমিশ করে দেয়। কিন্তু তার পরও গত মাসে তাকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের দুই দিন পর তাদের বাড়িতে ফোন করা হয়। বলা হয়, ছেলেকে জীবিত পেতে হলে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে।

পরে আবার দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। তার পরিবার মুক্তিপণও দেয়। কিন্তু তাকে আর বাঁচানো যায়নি। আজ উদ্ধার করা হয় লাশ।  রাউজান থানার সেকেন্ড অফিসার অজয় দেবশীল বলেন, দুই অপহরণকারীকে আটক করা হয়। আজ হৃদয়ের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এক অভিযুক্তকে উত্তেজিত জনতা পিটিয়ে মেরে ফেলেছে।

বিডি প্রতিদিন/এএ



এই পাতার আরো খবর