ঢাকা, শনিবার, ৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

টানা বর্ষণে নেত্রকোনার ১১ হাজার ৮৮২ হেক্টর রোপা আমন নিমজ্জিত
নেত্রকোনা প্রতিনিধি

টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে নেত্রকোনার প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। পানি বাড়ায় জেলার বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে প্রায় ১১ হাজার ৮৮২ হেক্টর জমির আবাদি রোপা আমন ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে গত তিনদিন টানা বর্ষণ থাকলেও শনিবার ভোর থেকে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পানি দ্রুত সরে যাচ্ছে। ফলে পানিতে নিমজ্জিত হওয়া ধানের চারা ভেসে উঠতে পারে বলে আশা প্রকাশ করছে কৃষি বিভাগ।

নেত্রকোনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, টানা তিন দিনের ভারী বর্ষণে প্রায় ১১ হাজার ৪৮২ হেক্টর জমির আবাদি আমন ধান পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। কিন্তু পানি দ্রুত সরে গেলে ধানের কোনো ক্ষতি হবে না। কৃষকদের এখনই হতাশ না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

জানা গেছে, নেত্রকোনা সদরে ২ হাজার ৪৭০ হেক্টর, পূর্বধলায় ২ হাজার ৩৬০ হেক্টর, দুর্গাপুরে ৪৫ হেক্টর, কলমাকান্দায় ১৮০ হেক্টর, মোহনগঞ্জে ১ হাজার ২০০ হেক্টর, বারহাট্টায় ২১৫ হেক্টর, আটপাড়ায় ১ হাজার হেক্টর, মদনে ৫০০ হেক্টর, খালিয়াজুরীতে ১২ হেক্টর ও কেন্দুয়ায় ৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমির ধান তলিয়ে গেছে। এ ছাড়াও বৃষ্টিপাতে শীতকালীন শাকসবজির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে।

জেলা মৎস্য কর্মবর্তা মোহাম্মদ শাহজাহান কবীর জানান, অতিবৃষ্টিতে জেলার ৭০৫টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। যার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক প্রায় ৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা।

নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারওয়ার জাহান জানান, শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত উব্দাখালি নদীর পানি কলমাকান্দা পয়েন্টে বিপৎসীমার মাত্র দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, ধনু নদীর পানি খালিয়াজুরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ১.৮০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, সোমেশ্বরী নদীর পানি বিজয়পুর পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫.২২ সেন্টিমিটার ও দুর্গাপুরে ২.৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে ও কংশ নদীর পানি জারিয়া পয়েন্টে  বিপৎসীমার ২.৩৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর