ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

টাঙ্গাইল থেকে মহাসমাবেশে যোগ দেবে বিএনপির ২০ হাজার নেতাকর্মী
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

শনিবার ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে যোগ দিতে টাঙ্গাইল থেকে প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মী যোগ দিচ্ছে এমনটি দাবি নেতাকের্মীদের। বৃহস্পতিবার বিকেলের মধ্যে ৩-৪ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় পৌঁছে গিয়েছেন। এ ছাড়া অনেক কর্মী বিভিন্ন কৌশলে পৌঁছে গেছেন ঢাকায়। কেউ দূরপাল্লার বাস, ট্রেন, প্রাইভেটকার ও ব্যক্তিগত গাড়িতে করে সমাবেশ যাচ্ছেন। আজ শুক্রবারের মধ্যে অন্যরা ঢাকায় পৌঁছাবে। 

এদিকে সমাবেশেকে কেন্দ্র করে ১০ জন বিএনপির নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফরহাদ ইকবাল। 

মহাসমাবেশ সামনে রেখে দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ করে দেওয়াসহ সরকারের পক্ষ থেকে যেকোনো ধরনের বাধা ও প্রতিবন্ধকতা এড়াতে আগেভাগেই বিএনপির নেতাকর্মীরা ঢাকায় যাচ্ছেন। 

বিএনপির নেতারা বলছেন, মহাসমাবেশ কর্মসূচির এক সপ্তাহ আগে থেকে সরকারি দল যে যুদ্ধ প্রস্তুতি দেখাচ্ছে, এর উদ্দেশ্য ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করে লোকসমাগম কমানো। একই সঙ্গে বিরোধী দলগুলোর চূড়ান্ত আন্দোলন থামিয়ে দেওয়া, যাতে নির্বাচনের আগে আর ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ না পায় বিএনপি।

বিএনপির নেতাকর্মীরা বলেন, ঢাকার সমাবেশে যোগ দিতে এবার ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে। টাঙ্গাইলের বিভিন্ন ইউনিট থেকে নেতাকর্মীরা ঢাকায় ঢুকতে শুরু করেছেন কয়েক দিন আগে থেকেই। পুলিশি হয়রানির ভয়ে নানা কৌশলে বিভিন্ন যানবাহনে এবং বিভিন্ন রুটে তারা ঢাকায় ঢুকেছেন। 

বিএনপির নেতাকর্মীদের অভিযোগ, সকাল থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের তল্লাশিচৌকি বসিয়ে বিভিন্ন পরিবহনে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশের সদস্যরা। 

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফরহাদ ইকবাল বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাধার সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা করছি। আমরা প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মী সমাবেশ যাবো। আওয়ামী লীগের নেতারা আমাদের গাড়ি আটকে রাখতে পারেন। যেভাবেই হোক আমরা সমাবেশে পৌঁছাবো। আজ থেকেই আমাদের বিএনপির নেতাকর্মীরা ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছেন।  এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল আদালত পরিদর্শক তানবীর আহমেদ বলেন, এ পর্যন্ত কারাগারে ১০ জনকে প্রেরণ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কালিহাতীতে ১ জন, দেলদুয়ারে ২ জন, মধুপুরে ২ জন, ধনবাড়ীতে ২ জন, নাগরপুর উপজেলার ২ জন ও বাসাইল উপজেলায় ১ জন রয়েছেন। তাদেরকে গত বছরের নাশকতার মামলায় আজ কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

টাঙ্গাইল র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩ কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দিন মোহাম্মদ যোবায়ের বলেন, দেশে  যেন কোন প্রকার নাশকতা না করতে পারে সে জন্য কালিহাতী উপজেলার ময়মনসিংহ রোডে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এখনো কাউকে আটক করা হয়নি।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, ২৮ তারিখের সভাকে কেন্দ্র করে কোন গ্রেফতার করা হচ্ছে না। ডাকাতি বন্ধে পুলিশের নিয়মিত কার্যক্রম অংশ হিসেবে মধুপুরে, এলেঙ্গা, গোড়াই, হামিদপুরে ৪টি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। 

বিডি প্রতিদিন/এএ



এই পাতার আরো খবর