ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে যুবলীগ নেতা, সমালোচনার ঝড়
অনলাইন ডেস্ক
যুবলীগ নেতা মশিউর রহমান শিমুলকে মোবাইল দিয়ে বিএনপি নেতাদের স্লোগান-মিছিলের ভিডিও করতে দেখা যায়

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশস্থলে বেসরকারি টেলিভিশনের সরাসরি সম্প্রচারিত একটি ফুটেজে পটুয়াখালী রাঙ্গাবালী উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান সভাপতি পদ প্রত্যাশী জেলা পরিষদ সদস্য মশিউর রহমান শিমুলের উপস্থিত থাকা নিয়ে বইছে সমালোচনার ঝড়।

আজ শনিবার আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে বিএনপি মহাসমাবেশের ঘোষণা দেয়। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী মহাসমাবেশস্থল নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে শুক্রবার রাত থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের অবস্থান করতে দেখা যায়। আর সেখানেই যুবলীগ নেতা মশিউর রহমান শিমুলকে মোবাইল দিয়ে বিএনপি নেতাদের স্লোগান-মিছিলের ভিডিও করতে দেখা যায়।

এমন একটি ভিডিও ও ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। আর এ নিয়ে পটুয়াখালী জেলাজুড়ে বইছে সমালোচনার ঝড়। 

জানা গেছে, মশিউর রহমান শিমুল পটুয়াখালী জেলা পরিষদের বর্তমান সদস্য ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বর্তমানে সভাপতি পদ প্রত্যাশী। তবে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও তার পরিবার বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয়। তার বাবা মো. নাসির হাওলাদার অবিভক্ত গলাচিপা থানা শাখার আওতাধীন রাঙ্গাবালী ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন। 

এদিকে নায়পল্টনে বিএনপি মহাসমাবেশে যোগ দেওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতারা।

রাঙ্গাবালী উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান সভাপতি পদ প্রত্যাশী মশিউর রহমান শিমুল বলেন, নয়াপল্টন ইসলামিয়া হাসপাতালে আমার অসুস্থ নানী চিকিৎসাধীন। সেখানে তাকে দেখতে গিয়েছিলাম। আসার সময়ে সড়কে দেখি বিএনপি নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বাজে স্লোগান দিচ্ছে। সেটি ভিডিও করেছি।  আমি সমাবেশে যোগ দেইনি।

জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মো. সোহেল বলেন, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। যেহেতু বর্তমানে রাঙ্গাবালীতে কোনো কমিটি নেই। তিনি (শিমুল) যদি বিএনপি মহাসমাবেশে গিয়ে থাকেন তাহলে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে পদ দেওয়ার ক্ষেত্রে তার বিষয়টি উত্থাপন করা হবে।

রাঙ্গাবালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান মামুন খান বলেন, ভিডিওটি আমিও দেখেছি, খুবই দুঃখজনক। একসময় তার বাবাও যুবদল করতো এবং তার পরিবার ও বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তবে তিনি যুবলীগ করে কখনো সেখানে যেতে পারেন না। বিষয়টি আমাদের দলীয় সভায় আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ



এই পাতার আরো খবর