ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

নাঙ্গলকোটে ননদকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ভাবি আটক
লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
ঝর্ণা আক্তার

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বাবার বাড়িতে ঝর্ণা আক্তার (১৭) নামে এক নববধূকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ভাবিকে আটক করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত ঝর্ণার পিতা বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের পর পুলিশ ঝর্ণার ভাবি ফুলনাহার আক্তার কলিকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করেছে।

নাঙ্গলকোট থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চি করে জানান, পারিপার্শ্বিক অবস্থায় হত্যাকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ততা থাকায় নিহতের ভাবি ফুলনাহার আক্তার কলিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

নিহতের পিতা আবদুল জলিল জানান, বাড়ির পাশে তিনি একটি ছোট চায়ের দোকান চালান। শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে পাশের ঘরের জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী তার ঘরের ভেতরে মারামারির শব্দ শুনে দোকানে গিয়ে তাকে খবর দিলে দ্রুত এসে খাটের নিচে তার মেয়ের রক্তাক্ত দেহ ও পাশে মাথার মগজ পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় তার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে ঝর্ণাকে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও জানান, তার স্ত্রী গত কয়েক বছর পূর্বে মারা যায়। তিনি আর দ্বিতীয় বিয়ে করেননি। তার ৩ মেয়ে ও ২ ছেলের মধ্যে ঝর্ণা চতুর্থ। ঘরে তার মা না থাকায় উপজেলার জোড্ডা গ্রামের প্রবাসী আপন ফুফাত ভাইয়ের সাথে বয়স পূর্ণ হওয়ার শর্তে গত ১৭ দিন পূর্বে মোবাইলের মাধ্যেমে তার বিয়ে হয়। বিদেশ থেকে ঝর্ণার স্বামী তার জন্য একটি এনড্রয়েড মোবাইল পাঠায়। গত কয়েকদিন পূর্বে ঝর্ণার মোবাইলটি চুরি হয়। এ নিয়ে ঝর্ণার ভাবি শাহীনের স্ত্রী ফুলনাহার আক্তার কলি ও পাশের বাড়ির বান্ধবী খুকির সাথে ঝগড়া হয়। এ ঘটনায় তারা একে অপরকে দোষারোপ করে। পরে ২-১ দিন পর কে বা কারা আমাদের ঘরে মোবাইলটি রেখে যায়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে পুনরায় ঝগড়া-বিবাদ হয়। মোবাইল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি।

এদিকে, ঝর্ণা আক্তার খুনের ঘটনায় শনিবার গভীর রাতে ৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। আটককৃতরা হলো- ভাবি ফুলনাহার আক্তার কলি, তার মা উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের মীর হোসেনের স্ত্রী কহিনুর আক্তার, কেন্দ্রা গ্রামের খোকনের মেয়ে নিহত ঝর্ণার বান্ধবী খুকি আক্তার, তার ভাই মোহাম্মদ পরান, একই গ্রামের শফিকুর রহমানের মেয়ে গোল রেহানসহ ৭ জন। রাতভর ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকায় ঝর্ণার ভাবি ফুলনাহার আক্তার কলিকে আদালতে প্রেরণ করে থানা পুলিশ।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল



এই পাতার আরো খবর