ঢাকা, বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: মোংলা বন্দরে পণ্য ওঠানামা বন্ধ
বাগেরহাট প্রতিনিধি:

ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ ধেয়ে আসায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারির পর মোংলা বন্দরে অবস্থানরত ১৪টি বিদেশি জাহাজে পণ্য ওঠানামার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জারি করা হয়েছে বন্দরে নিজস্ব সতর্ক সংকেত ‘এলার্ট থ্রি’। 

বন্দর জেটি ও পশুর চ্যানেলসহ বহির্নোঙ্গরে অবস্থানরত সব বণিজ্যিক জাহাজকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে নির্দেশ দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বাগেরহাটে ৩৫৯টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়ছে। সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে রেড ক্রিসেন্টের সিপিবি সদস্যসহ চার হাজার স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছে। সুন্দরবন থেকে দেশি বিদেশি সব পর্যটককে সকালের মধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় কয়েক হাজার ফিশিং ট্রলার সুন্দর বনসহ উপকূলের বিভিন্ন মৎস্য বন্দরে আশ্রয় নিয়েছে।  বাগেরহাট জেলা জুড়ে ভারি বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

মোংলা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মো. হারুন অর রশিদ জানান, ঘূর্ণিঝড় মিধিলি ধেয়ে আসায় মোংলা বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৯টায় ঘূর্ণিঝড়টি মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলা জেলে পল্লী টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলীপ মজুমদার জানান, সুন্দরবন থেকে দেশি বিদেশি সব পর্যটককে সকালের মধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বঙ্গোপসাগর উত্তাল উত্তাল থাকায় কয়েক হাজার ফিশিং ট্রলার সুন্দরবনসহ উপকূলের বিভিন্ন মৎস্য বন্দরে আশ্রয় নিয়েছে। দুই দিন ধরে টানা বৃষ্টির কারণে সুন্দরবনের দুবলার চরে শুঁটকি পল্লীর জেলে-মহাজনদের আধা শুকনো ও কাচা মাছ নষ্ট হয়ে ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় মিধিলি ধেয়ে আশায় ৩৫৯টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিতে রেড ক্রিসেন্টের ১ হাজার ৯২০ জন সিপিবি সদস্যসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের চার হাজার সদস্য কাজ করছে। নগদ ৯ লাখ টাকা, ৬৫০ মেট্রিক টন চালসহ মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। 

বিডি প্রতিদিন/এএম



এই পাতার আরো খবর