ঢাকা, বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

দুর্গাপুরে কিশোরী গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু
নেত্রকোনা প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি

নেত্রকোনায় বিয়ের ছয় মাস যেতে না যেতেই সানজিদা আক্তার (১৭) নামে এক কিশোরী গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। দুর্গাপুরের পৌর শহরের সাধুপাড়া বাবার বাড়িতে রবিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। বিকেলে লাশ উদ্ধার করে নেত্রকোনা মর্গে পাঠালে সোমবার লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। এদিকে, ঘটনার পর থেকে কিশোরীর স্বামীর খোঁজ মিলছে না বলে জানিয়েছে পুলিশ।

কিশোরী গৃহবধূ সানজিদা আক্তার দুর্গাপুর পৌরশহরের বাগিচাপাড়া এলাকার আলামিন আকন্দের স্ত্রী এবং সাধুপাড়া এলাকার জাকির হোসেনের মেয়ে।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ছয় মাস আগে একই শহরের বাগিচাপাড়া এলাকার আলামিন আকন্দের সঙ্গে সানজিদার বিয়ে হয়। তাদের বিয়ে ছিল নিজেদের পছন্দের। তবে বিয়ের ২ মাস পর থেকেই সানজিদা স্বামী নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকতেন। তার স্বামী অটোরিকশা চালাতেন। শনিবার রাতে তাদের দু’জনের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে মারধরের শব্দ পেয়ে তার মা বড় মেয়েকে পাঠিয়ে ঝগড়া থামান। এরপর সকালে আবারও দরজা বন্ধ করে ঝগড়া শুরু হলে মেয়ের মা গিয়ে দরজা খুলতে বললেও দরজা খোলেনি তারা। কিছুক্ষণ পরে মেয়ের জামাই আলামিন সবার অগোচরে ঘর থেকে বের হয়ে চলে যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা দুপুরের দিকে ঘর থেকে সানজিদার নিথর দেহ নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সানজিদার মা জাহানারা বেগম বলেন, সকালে ঝগড়ার পরে আমার মেয়ে আর ঘর থেকে বের হয়নি। সে অসুস্থ তাই ভেবেছি ঘুমাচ্ছে। পরে যখন সকাল পেরিয়ে দুপুর হলেও তার সাড়া শব্দ নেই, তখন ঘরের ভেতরে গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে ডাক দিলেও আর জেগে ওঠেনি। তারপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলেন আমার মেয়ে মারা গেছে।

দুজনের ঝগড়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, জামাই মিথ্যা কথা বলে আমার মেয়েকে বিয়ে করেছে। আর ঋণ করে বিয়ে করেছে। কয়েকদিন ধরে মেয়ের গয়না নিতে চাইলে, এগুলো নিয়েই ঝগড়া হতো।

এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম চন্দ্র দেব বলেন, যতটুকু সংবাদ পেয়েছি, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। ঘটনার পর থেকে সানজিদার স্বামীর খোঁজ মেলেনি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর