ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

চাঁদপুরে স্ত্রী-শাশুড়ি হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
চাঁদপুর প্রতিনিধি

চাঁদপুর ফরিদগঞ্জের গৃদকালিন্দিয়া এলাকায় স্বামী-স্ত্রীর মাঝে সন্দেহকে কেন্দ্র করে স্ত্রী তানজিনা আক্তার রিতু (২০) ও শাশুড়ি পারভীন বেগমকে হত্যার দায়ে রিতুর স্বামী মো: আল মামুন মোহনকে (৩২) আদালত মৃত্যুদণ্ড ও  এক লক্ষ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। রবিবার দুপুরে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২) শাহেদুল করিম এই রায় প্রদান করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মামুন লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার শায়েস্তা নগর গ্রামের মিয়াজান বেপারী বাড়ির মৃত মমতাজ মাস্টারের ছেলে। হত্যার শিকার তানজিনা আক্তার রিতু ও পারভীন বেগম চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গৃদকালিন্দিয়া এলাকার প্রবাসী মো: সেলিম খানের মেয়ে ও স্ত্রী। মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৭ সালে ১৩ ডিসেম্বর মামুন ও রিতুর বিয়ে হয়। মামুনের বাড়িতে ঘর না থাকায়, রিতুর বাবার বাড়ি থাকতেন। এরই মাঝে মামুন বিদেশে চলে যান। সেখানে কাজ না পেয়ে দেড় বছর পর দেশে ফিরে আসেন।  এর মধ্যে নানা কারণে মামুন ও রিতুর মাঝে সন্দেহ সৃষ্টি হয়। পরে ২০২০ সালের ১৩ মে সন্ধ্যায় ফরিদগঞ্জ উপজেলার গৃদকালিন্দিয়া এলাকায় সেলিম খানের তিনতলা ভবনের নীচতলার সামনে ইফতারের সময় স্ত্রী ও শাশুড়িকে মামুন ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।

ছুরিকাঘাতে রিতু ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং মা পারভীন বেগম ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। রিতুর চাচা মো: লিয়াকত খান ফরিদগঞ্জ থানায় মামুনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। মামলাটি তৎকালীন ফরিদগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ শহীদ হোসেন তদন্ত শেষে ওই বছর ২৯ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অতিরিক্ত পিপি এড. মজিবুর রহমান ভূঁইয়া। তিনি জানান, মামলাটি তিন বছরের অধিক সময় চলমান অবস্থায় আদালত ২৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। স্বাক্ষ্য প্রমাণ ও নথিপত্র পর্যালোচনা ও আসামি অপরাধ স্বীকার করায় আদালত আসামি মামুনের উপস্থিত এই রায় প্রদান করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এড. সেলিম আকবর ও এড. সফিকুল ইসলাম ভুঁইয়া।

বিডি প্রতিদিন/এএ



এই পাতার আরো খবর