কুমিল্লার চান্দিনায় পাঁচ শত টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বে মারামারিতে একজন নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম মো. হোসেন (৭৫)। তিমি চান্দিনা উপজেলার জোয়াগ ইউনিয়নের পশ্চিম কৈলাইন গ্রামের মৃত আবদুল জলিলের ছেলে। সোমবার লক্ষ্মীপুর নতুন বাংলা বাজারে ওই মারামারির ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গত সপ্তাহে মো. হোসেন বাজারে দুটি রাজহাঁস বিক্রি করে। এসময় স্থানীয় সবুর নামের এক ব্যক্তি হাঁস বিক্রির টাকা থেকে ৫শত টাকা জোর পূর্বক দালালি হিসেবে রেখে দেয়। এই ঘটনার দুই-তিন দিন পর বিক্রেতা হোসেনের ছেলে বোরহান ওই সবুরকে বাজারে পেয়ে ৫শত টাকা ফেরৎ দিতে বলে। এক পর্যায়ে জনৈক ইদ্রিস মিয়া ওই হাঁসগুলো চুরি করা বলে অভিযোগ তোলেন। সে সময় উভয়পক্ষের মধ্যে বাক বিতন্ডা হয়।
সোমবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর নতুন বাংলা বাজারের একটি মার্কেটের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল বোরহান। এসময় কৈলাইন গ্রামের আমান আলীর ছেলে ইদ্রিস মিয়া ও জামালের ছেলে মোক্তার হোসেন, লক্ষ্মীপুর গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে মনির হোসেন মিলে পুরোনো ঘটনার জের ধরে বোরহানকে মারধর শুরু করে। উভয়পক্ষের আরোও লোকজন এসে মারামারিতে জড়িয়ে পরে। খবর পেয়ে মো. হোসেনও ঘটনাস্থলে আসে। এসময় হুলস্থুলের মধ্যে মো. হোসেন মিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা মো. হোসেনকে পার্শ্ববর্তী কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এদিকে ওই ঘটনায় নিহতের ছেলে মো. বোরহান (২৮) এবং মো. হানিফসহ (৩১) উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হন। অপরদিকে খবর পেয়ে সোমবার বিকেলে চান্দিনা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
চান্দিনা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আজিজুল ইসলাম বলেন- ‘প্রাথমিক তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি দালালির ৫শত টাকা নিয়েই ঝামেলা পাকিয়ে মারামারি হয়। তবে নিহত মো. হোসেন এর গায়ে কোন আঘাতের দাগ নেই। দৌড়াদৌড়িতে ইট বা পাথর কনায় হোচট খেয়ে সে মাটিতে পরে গিয়েছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে। আমরা লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাচ্ছি।’
সোমবার সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. সাহাবুদ্দীন খাঁন বলেন- ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তারা প্রাথমিক তদন্ত করছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম