ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ফরিদপুর-২ আসনে চমক দেখাতে চান জামাল হোসেন
ফরিদপুর প্রতিনিধি :
অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া

ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা-সালথা) আসনে এবার ভোটের মাঠে চমক দেখাতে চান বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এবং নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে তিনি নৌকার মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু মনোনয়ন না পাওয়ায় স্থানীয়দের দাবির মুখে স্বতন্ত্র প্রার্থী হবার ঘোষণা দেন।

জামাল হোসেন বৃহস্পতিবার দুপুরে সালথা উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে তার মনোনয়নপত্র জমা দেন। এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির হোসেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াহিদুজ্জামানসহ সালথা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছাড়াও বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আওয়ামী লীগ নেতা জামাল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসীর সেবায় কাজ করে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের মন জয় করেছেন। দলের দুঃসময়ে জামাল হোসেন নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। ফলে দলের অধিকাংশ নেতাকর্মীই জামাল হোসেনের সাথে রয়েছেন।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান, জামাল হোসেন বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। তার পুরো পরিবার দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। রাজনীতি করতে গিয়ে জামাল হোসেন মিয়া ও তার পরিবারের উপর নানা অত্যাচার-নির্যাতন, মামলা হয়েছে। তারপরও আওয়ামী লীগের আদর্শ থেকে তাকে সরানো যায়নি। বিগত দিনে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে নির্যাতন, হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন জামাল হোসেন। এবারের নির্বাচনে জামাল হোসেন মিয়াকে তারা বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী করবেন বলে জানান। ফরিদপুর-২ আসনে অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়ার পক্ষে ব্যাপক গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।

অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন জানান, তিনি এবার নৌকার মনোনয়ন চেয়েছিলেন, কিন্তু পাননি। মনোনয়ন না পেলেও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দলের যে কেউ স্বতন্ত্র হিসাবে নির্বাচন করতে পারবেন। এ কারণেই তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। 

তিনি বলেন, এ আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। তবে এবার যাকে নৌকা দেওয়া হয়েছে তিনি বিগত দিনে এলাকার মানুষের জন্য কিছুই করতে পারেননি। ফলে এলাকার মানুষের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই। মানুষ এখন অনেক সচেতন। তারা জানে কাকে ভোট দিলে উন্নয়ন হবে, তাদের ভাগ্য ফিরবে। সেই হিসাবে ফরিদপুর-২ আসনের লাখো মানুষের দাবির মুখে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। আমাকে ভালোবেসে যারা সমর্থন দিয়েছেন, তাদের পাশে আছি- আমার জীবন উৎসর্গ করতেও দ্বিধা করবো না। আমি বিশ্বাস করি আমার এলাকার মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করে সংসদে পাঠাবে। 

বিডি-প্রতিদিন/শফিক



এই পাতার আরো খবর