ঢাকা, বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

দিন ভালো যাচ্ছে না হিরো আলমের
আবদুর রহমান টুলু,বগুড়া

দিন ভালো যাচ্ছে না হিরো আলমের। অনলাইন মাধ্যমে হিরো আলমের দিক থেকে অনেকেই মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। লাইক, কমেন্ট, ভিউ, শেয়ার কমে গেছে। আলোচিত এই ইউটিউবারের আয়ও কমে গেছে। ব্যবসা ভালো না হওয়ায় গত ১১ মাসে আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের এ খাত থেকে আয় হচ্ছে মাসিক ২২ হাজার টাকা। 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বগুড়া-৪ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে দাখিল করা হলফনামা থেকে এ তথ্য জানা যায়।

গত ৪ ডিসেম্বর বগুড়া জেলা প্রশাসক সভাকক্ষে মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ে যথাযথভাবে পূরণ না করায় হিরো আলমের মনোনয়ন বাতিল করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলাম। আজ মঙ্গলবার মনোনয়ন ফিরে পেতে আপিল করছেন হিরো আলম। 

হিরো আলমের সহকারীরা জানান, তার মিডিয়া ব্যবসা তেমন ভালো যাচ্ছে না। যে কারণে গত ১১ মাসে তেমন আয় বাড়েনি। আয় আরো কমে গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থেকে আয় কমেছে দিগুণ গতিতে। লাইক, শেয়ার, কমেন্ট, ভিউ কমে গেছে। এটি বাড়াতে কাজ চলছে। নির্বাচনের পর এ বিষয়ে কাজ করা হবে। চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি বগুড়া-৪ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে হিরো আলম হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে একতারা প্রতীকে ৮৩৪ ভোট কম পেয়ে হেরে যান। ঠিক ১১ মাস পর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসনে আবারও প্রার্থী হয়েছেন হিরো আলম। 

এবারের হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেছেন, তার বছরে আয় ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এর মধ্যে কৃষিজমি থেকে ৬ হাজার এবং মিডিয়া ব্যবসা থেকে বাকি টাকা আসে। ব্যাংকে জমা আছে ৩০ হাজার টাকা। স্ত্রীর নামে রয়েছে ১০ ভরি স্বর্ণালংকার। আছে ৫৫ লাখ টাকার পারিবারিক সঞ্চয়পত্র। সব মিলিয়ে গত ১১ মাসে মিডিয়া ব্যবসা থেকে তার আয় এসেছে ২২ হাজার টাকা। তবে উপ-নির্বাচনে গাড়ির কথা উল্লেখ করলেও এবারের হলফনামায় গাড়ির ব্যাপারে কোনো তথ্য নেই। এ ছাড়াও তার কোনো ঋণ নেই এবং একটি মামলা ছিল সেটিও বর্তমানে নিষ্পত্তি হয়েছে।  হিরো আলম জানান, তার মিডিয়া ব্যবসা ছাড়া আয়ের কোনো উৎস নেই। কোনো ব্যাংক বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে কোনো ঋণ নেই। একটা মামলা ছিল সেটিও নিষ্পত্তি হয়েছে। যেটুকু জমি রয়েছে সেটি পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া। স্বর্ণ বৈবাহিক সূত্রে পাওয়া। তবে নিজস্ব গাড়ি ছিল এখন নেই।  তিনি আরও জানান, সামান্য কিছু ভুলের কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তিনি আপিল করার জন্য বর্তমানে ঢাকায়। দুপুরে নির্বাচন কমিশনে আপিল করব। বিশ্বাস আছে মনোনয়ন ফিরে পাব।   বগুড়া জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, ‘আশরাফুল হোসেন আলম দলীয় প্রার্থী হয়েও দলের নাম উল্লেখ করেননি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এক শতাংশ ভোটার তালিকাও জমা দেননি। দলীয় ফরমের মূল কপি জমা না দিয়ে ফটোকপি জমা দিয়েছেন। এ ছাড়া হলফনামায় তিনি তার স্বাক্ষর দেননি এবং সম্পদ বিবরণী ফরম জমা দেননি। এসব কারণে আশরাফুল হোসেন আলমের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।’

এর আগে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে নির্বাচন কমিশনে আপিল করে প্রার্থিতা ফেরত না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন তিনি। হাইকোর্টের আদেশে নির্বাচনে ফিরে আসেন হিরো আলম।

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল



এই পাতার আরো খবর