ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

কুড়িগ্রাম জেলা স্কুলে ৭ ছাত্রের লটারি বহির্ভূত ভর্তি নিয়ে তদন্ত
খন্দকার একরামুল হক সম্রাট, কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামে জালিয়াতির মাধ্যমে ৭ জন ছাত্রের অনলাইনে লটারিতে নাম না থাকলেও তাদের ভর্তির ঘটনায় গত কয়েকদিন ধরে জেলা জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। জেলার অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠ কুড়িগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় যা জেলা স্কুল নামে প্রতিষ্ঠিত। সেখানে আগামী ২০২৪ সালের ভর্তি সেশনে ষষ্ঠ শ্রেণির ৬ জন এবং নবম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থী অবৈধ পন্থায় জালিয়াতি করে ভর্তির অভিযোগ উঠেছে। 

মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ এবং লটারির ফলাফলকে পাশ কাটিয়ে প্রধান শিক্ষক জিয়াসমিন আরা হক তার একক সিদ্ধান্তে ওই ৭ ছাত্রকে ভর্তি করান বলে অভিযোগ। এ তথ্য নিশ্চিত করেন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক সিনিয়র শিক্ষক মফিদুল ইসলাম ও সদস্য সচিব দেওয়ান এনামুল হক। এদিকে জালিয়াতির ঘটনা ফাঁস হওয়ায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রংপুর বিভাগীয় রংপুর আঞ্চলিক উপ-পরিচালকের নির্দেশে কুড়িগ্রাম জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শামছুল আলম রবিবার বিকেলে তদন্ত কার্য়ক্রম শুরু করেন।

স্কুলের ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক সিনিয়র শিক্ষক মফিদুল ইসলাম বলেন, প্রধান শিক্ষক জিয়াসমিন আরা হক সম্পূর্ণ বিধি বহির্ভূতভাবে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ক শাখায় ৫ জন ও খ শাখায় ১ জনসহ ৬জন ছাত্র ও ৯ম শ্রেণিতে ১জন ছাত্র জোড়পূর্বক ভর্তি করান। যা সরকারি নির্দেশনার স্পষ্ট লঙ্ঘন। কারণ এসব ভর্তিকৃত ছাত্র ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের অনলাইনে কোনো আবেদন করেনি এবং লটারি প্রক্রিয়ায় ভর্তি কার্যক্রমে অংশ নেয়নি। বিধি অনুযায়ী প্রধান শিক্ষকতো নয়ই, ভর্তি কমিটির সদস্যগণও লটারি প্রক্রিয়ার বাইরে কোনও শিক্ষার্থীকে ভর্তি করাতে পারেন না। প্রধান শিক্ষক জেলা প্রশাসকের নাম ভাঙিয়ে তার অযুহাত দেখিয়ে ভর্তি কমিটিকে ওই ছাত্রদের ভর্তি করাতে বাধ্য করেছেন। 

এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসার শামছুল আলম বলেন, প্রকাশিত ফলাফলের বাইরে শিক্ষার্থী ভর্তির কোনো সুযোগ নেই। সরকারি কলেজের শিক্ষকের ৪ সন্তান হলেও তাদেরকে অনলাইনে আবেদন করে লটারিতে অংশ নিয়ে টিকতে হবে। এমনকি কোটাভুক্ত হলেও লটারিতে টিকতে হবে। এর বাইরে শিক্ষার্থী ভর্তি কোনোভাবে বৈধ হবে না। এটি শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালার স্পষ্ট পরিপন্থি। 

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক জিয়াসমিন আরা হক ঘটনার সত্যতা কিছুটা অস্বীকার করে বলেন, প্রকাশিত লটারির ফলাফলের বাইরে শিক্ষার্থী ভর্তির কোনো সুযোগ নেই। যেটা হয়েছে তা বিধি সম্মত হয়নি বুঝতে পেরে ওই ৭ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করেছি। শূন্য আসনে ভর্তির জন্য অপেক্ষমান তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত চলমান।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল



এই পাতার আরো খবর