ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

চাঁদপুরে ভাঙা সেতুর জন্য এলাকাবাসীর দুর্ভোগ
চাঁদপুর প্রতিনিধি

চাঁদপুর সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বাংলাবাজার সুইচ গেইট খালের উপর নির্মিত সেতুটি দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর যাবত ভেঙে পড়ে রয়েছে। এতে খালের দু’পাড়ের বাসিন্দাদের চলাচলে চরম বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। ২০১৫ সালে নির্মিত সেতুটি নির্মাণের ২/৩ বছরের মধ্যেই ভেঙে পরেছে। বর্ষায় খালের পানির তীব্র স্রোতে দু’পাড়ের বাসিন্দাদের বাড়িঘর ও কৃষি জমি ভেঙে পরারও উপক্রম হয়েছে। বর্তমানে ভেঙে সেতুটি এলাকাবাসীর জন্য গলার কাটায় পরিণত হয়েছে। সেতুটি খালের মাঝে হুমড়ি খেয়ে থাকার কারণে নৌযান পর্যন্ত চলাচল করতে পারছে না। দু’পাড়ের জনসাধারণ ও স্কুল-কলেজ পড়ুয়া  শিক্ষার্থীদের খাল পারাপারের জন্য এলাকার জনপ্রতিনিধি বাঁশের সাঁকো পর্যন্ত তৈরি করে দিয়েছেন। 

খাল পাড়ের বাসিন্দা শাহ আলম আখন্দ বলেন, সেতুটি ৭ বছর পূর্বে নির্মিত হলেও  ৪/৫বছর যাবত ভেঙে খালের মধ্যে হুমড়ি খেয়ে পড়ে আছে। যার ফলে ভাঙা সেতুর গাইডওয়ালে পানি বাধাপ্রাপ্ত হয়ে আমাদের বাড়ির ভিটি ভাঙন হুমকিতে রয়েছে। এমনকি ভাঙনের ভয়ে আমরা রাতে ঠিকমত ঘুমাতেও পারি না। যেকোন সময় আমাদের বাড়িটি পানির স্রোতে তলিয়ে যাবার আশঙ্কায় থাকি। তাই সেতুটি দ্রুত অপসারণের জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান খান জাহান আলী কালু পাটওয়ারী বলেন, উপজেলা থেকে সেতুটি অপসারণের জন্য অকশান করা হয়েছে। ঠিকাদার কর্তৃক অকশন নিলেও সেতুটি অপসারণের কোন উদ্যোগ নেই। ইতোমধ্যে অপসারণের মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। সেতুটি কেন অপসারণ করা হয়নি, সেজন্য সদর উপজেলা পিআইও মহোদয়কে বারং বার তাগিদ দিয়ে যাচ্ছি।

ইউপি মেম্বার আলী আহম্মদ বলেন, বাংলাবাজার সুইচ গেটের খালের উপর নির্মিত ব্রিজটি এলাকার মানুষের গলার কাটায় পরিনত হয়েছে। দু’পাড়ের জনসাধারণের চলাচলে ব্যঘাত সুষ্টি হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে ব্রিজের পাশে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে অনেকে খালের পানিতে পড়েছে। এমনকি বর্ষায় পানির স্রোতে খালের দু’পাড়ের জমি ভেঙে খালের প্রসারতা বেড়ে গেছে। পূর্বে খালের প্রস্থ ৭০ফুট থাকলেও এখন দু’পাশের জমি ভেঙে ১৪০ ফুটে পৌঁছেছে। সম্প্রতি পিআইও সাহেব মৌখিকভাবে আমাকে ব্রিজটি অপসারণের কথা বলেছেন। অফিস থেকে লিখিত অনুমতি ছাড়া আমি কিভাবে ব্রিজটি অপসারণের কাজটি করি। 

চাঁদপুর সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি ২০১৬ সালে যোগদানের পূর্বেই এই সেতুটির টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে কাজ শুরু করা হয়েছিল। তখন উপ-সহকারি প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম নিজেই সেতুর কাজটি তদারকি করেছেন। সেতুটির নির্মাণ কাজ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে করালে সঠিক হতো। বর্তমানে ভাঙা সেতুটি অপসারণের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সদর উপজেলার মৈশাদীর ঠিকাদার শাহ-আলম কাজটি পায়। কিন্তু ঠিকাদার অপসারনের কাজটি করতে দীর্ঘ বিলম্ব করছেন।

বিডি প্রতিদিন/এএ



এই পাতার আরো খবর