ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

কিশোরগঞ্জে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:

কিশোরগঞ্জে রিপা রাণী ধর (২২) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সদর উপজেলার মহিনন্দ ইউনিয়নের ভাস্করখিলা গ্রামে স্বামীর বাড়ি থেকে সোমবার সন্ধ্যায় তার মরদেহ উদ্ধার করে। রিপা ভাস্করখিলা গ্রামের তনয় ধরের স্ত্রী। স্বজনদের দাবি এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

পুলিশ জানায়, সোমবার সন্ধ্যার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুলন্ত মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতনন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়। তার শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ও তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার কারণ উদঘাটন করা হবে বলে জানিয়েছেন সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা।

এদিকে গৃহবধূ রিপার বড় বোন রিমা রাণী সাহা অভিযোগ করেছেন যৌতুকের জন্য স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছে।  তিনি আরও জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি তাড়াইল উপজেলার বরুহা গ্রামে। প্রাণেশ চন্দ্র তালুকদারের চার মেয়ের মধ্যে রিপা দ্বিতীয়। প্রায় দুই বছর আগে সদর উপজেলার ভাস্করখিলা গ্রামের গোবর্ধন ধরের ছেলে তনয় ধরের সঙ্গে রিপার বিয়ে হয়। দাম্পত্যজীবনে তাদের ১০ মাস বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে স্বামীকে এক লাখ টাকা ও আড়াই ভরি স্বর্ণালংকার দেওয়া হয়। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর আরও যৌতুকের জন্য স্বামী, শাশুড়ি ও স্বামীর বড় বোন মিলে রিপার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। রিপা এসব ঘটনা তার বড় বোন রিমাকে জানাতো। ছোট বোনের সংসার টিকিয়ে রাখার স্বার্থে সবকিছু চেপে গিয়ে রিপা ও তার স্বামীকে বোঝাতেন রিমা। কিন্তু কিছুদিন পর নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। রিমা জানান, সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে রিপার মৃত্যুর খবর পেয়ে তাদের বাড়িতে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ দেখতে পান। তিনি জানান, তার বোন আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনে হত্যা করা হয়েছে।  রিমা আরও জানান, রিপার স্বামী ও পরিবারের সদস্যরা যে কোনো সময় বিদেশে পালিয়ে যেতে পারে বলে জানতে পেরেছেন তিনি। এ অবস্থায় তাদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিসহ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে অপরাধীদের বিচার দাবি করেন তিনি।

বিডি প্রতিদিন/এএম



এই পাতার আরো খবর