ঢাকা, বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

হালুয়ারঘাট সেতুর প্রস্তাব আমিই প্রথম সংসদে দিয়েছি : পীর মিসবাহ
অনলাইন প্রতিবেদক
পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ

সুনামগঞ্জ-৪ (সদর-বিশ্বম্ভরপুর) আসনের জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ বলেছেন, ‌‘হালুয়ারঘাট সেতু নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে বা জাতীয় সংসদে কেউ কখনো আলোচনা করেনি। আমি সংসদ সদস্য হওয়ার পর প্রথমে এই উত্তর সুরমার মানুষের জন্য হালুয়ারঘাট সেতু নির্মাণের দাবি তুলি।’ এই সেতু নির্মাণকে ইস্যু করে সরকারদলীয় প্রার্থী ভোটারদের বিভ্রান্ত করছেন জানিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

পীর মিসবাহ বলেন, ‘এলজিডির মাধ্যমে এটাকে (হালুয়ারঘাট সেতু) প্রকল্পভুক্ত করি। এলজিডির মাধ্যমে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমীক্ষাও এখানে হয়। এখন চূড়ান্ত সমীক্ষার অপেক্ষায় রয়েছে। এই চূড়ান্ত সমীক্ষা শেষ হওয়ার পরে সেটি একনেকে যাবে। একনেকে পাস হলে এখানে ব্রিজের টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হবে।’ 

তিনি বলেন, ‘এ অবস্থায় এই নির্বাচনকে সামনে রেখে উনারা এটাকে ইস্যু বানিয়ে ভোটারদের আকৃষ্ট করতে চাচ্ছেন যে, সরকারদলীয় প্রার্থীকে ভোট দিলে উনি এখানে ব্রিজ করে দিতে পারবেন। ব্রিজতো এখানে ইতোমধ্যে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এখন আপনারা যারা সাংবাদিক আছেন আপনাদের মধ্যে থেকেও কেউ যদি এই আসনে সংসদ সদস্য হন তবুও এই ব্রিজ নির্মাণ হবে।’

পীর মিসবাহ আরও বলেন, ‘এটা হচ্ছে একটা নির্বাচনি কৌশল। আমি দেখলাম সরকারদলীয় প্রার্থী বলছেন, এই ব্রিজের ফাইল ফ্রিজের ভেতরে আছে এবং এটার চাবি কোথায় এটা উনার জানা আছে। এটা শুনে আমার একটু সন্দেহ হলো। কারণ, তফসিল ঘোষণার আগে এই চূড়ান্ত সমীক্ষা দল সুনামগঞ্জে আসার কথা ছিল। কিন্তু তফসিল ঘোষণার আগে চূড়ান্ত সমীক্ষার দল এখানে আসে নাই। এখন মনে হচ্ছে, এই ফ্রিজে থাকা আর চাবি জানার মধ্যে একটা যোগসূত্র আছে না আসার (সমীক্ষা দল)। এবং এটাকেই ইস্যু করে মানুষকে আকৃষ্ট করতে চাচ্ছেন তারা। কিন্তু এই উত্তর সুরমার মানুষ অত্যন্ত সচেতন এবং তারা এই সমস্ত কথায় বিভ্রান্ত হবেন না। অতীতেও তারা এখানে লাঙ্গল প্রতীককে নির্বাচিত করেছেন। আগামী ৭ তারিখেও লাঙ্গল প্রতীককে বিজয়ী করবেন তারা।’ 

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

 



এই পাতার আরো খবর