ঢাকা, বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা, নারী ইউপি সদস্যকে ঘাড় ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ
মেহেরপুর প্রতিনিধি

মেহেরপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনি প্রচারণা করায় ঘাড় ধাক্কা দিয়ে এক নারী ইউপি সদস্যকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। 

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন পষিদ চত্বরে এঘটনা ঘটে। নৌকার পক্ষে নির্বাচনি প্রচারণা না করায় ক্ষিপ্ত হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম রেজা কুতুবপুর ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ সংরক্ষিত আসনের নারী ইউপি সদস্য রহিমা খাতুনকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে পরিষদের হল রুম থেকে বের করে দেন তিনি। এ বিষয়ে সন্ধ্যায় মেহেরপুর সদর থানা ও নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ করেন ওই নারী ইউপি সদস্য। 

কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য রহিমা খাতুন বলেন, মেহেরপুর-১ আসনের নৌকার মনোনীত  প্রার্থী জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের পক্ষে কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম রেজা নির্বাচনি প্রচারণা করছেন। আমি স্বত্বন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নানের পক্ষে এলাকায় প্রচারণা করছি। চেয়ারম্যান সেলিম রেজা মঙ্গলবার দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ হল রুমে একটি মিটিং চলাকালিন সময় সকল ইউপি সদস্যকে বলেন নৌকার পক্ষে ভোট করা অঙ্গীকার করতে হবে এখন। এসময় আমি বলি নৌকার লোকজন আমাকে ডাকে না। সেলিম উত্তেজিত হয়ে বলেন আপনি ট্রাকের ভোট করছেন। আপনার ভাই গ্রামে ট্রাকের অফিস দিয়েছে বলেই হঠাৎ করে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে পরিষদ থেকে বের করে দেয়। বাজে ভাষায় গালাগালি করতে থাকেন। এসময় তিনি বলেন নৌকার পক্ষে ভোট না করলে আমাকে পরিষদে ঢুকতে দেওয়া হবেনা। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই। আমি একজন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী। 

মেহেরপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লাভলি ইয়াসমিন বলেন, আমার এক নেত্রীকে ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম রেজা ঘাড় ধাক্কা দিয়ে পরিষদ থেকে বের কয়ে দিয়েছে। এ ঘটনার বিচার চাই আমরা। বিচার না পেলে পরিষদ ঘেরাওসহ কঠোর কমসূচি দেওয়া হবে। 

জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান (ছোট) বলেন, এ ধরনের ঘটনা নির্বাচনি আচারনবিধি লঙ্ঘন। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে সুষ্ঠ বিচার চাই।   

কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম রেজা বলেন, দুপুরে পরিষদে মাসিক সমন্বয় মিটিং চলাকালীন সময় ৭, ৮ ও ৯ সংরক্ষিত আসনের নারী ইউপি সদস্য রহিমা খাতুন মিটিংকে কেন্দ্র করে উত্তেজিত হয়ে কথাবার্তা বলতে থাকেন। এসময় তাকে আমি স্বাভাবিক ভাবে কথা বলার জন্য আহ্বান করলে তিনি মিটিং ছেড়ে চলে যান। পরে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে সাংবাদিকদের কাছে বক্তব্য দিয়ে আসছেন। আমি এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। নির্বাচনের সময় একটি মহল মিথ্যা বানোয়াট ঘটনাকে নিয়ে আমার প্রতিপক্ষরা ভিন্নভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। কারণ আমি নৌকার পক্ষে ভোট করছি। আমি আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান।  

এ বিষয়ে মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা শেখ কনি মিয়া বলেন, আমি অফিসে ছিলাম না। অভিযোগপত্রটি এখনও আমার কাছে এসে পৌঁছায়নি।    

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ



এই পাতার আরো খবর