নির্বাচনি মিছিল ও বাড়ি-ঘরে হামলার ঘটনায় জড়িতদের ১২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার না করলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন সুনামগঞ্জ -৫ (ছাতক-দোয়ারাবাজার) আসনে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আবু সালেহ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় দোয়ারাবাজার উপজেলার পাইলছড়া গ্রামের নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে করে এই ঘোষণা দেন সুপ্রিম পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব আবু সালেহ।
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। রাত ১২টার দিকে দোয়ারাবাজার থানা প্রার্থীর স্ত্রীর দায়ের করা মামলাটি রেকর্ড করে। রাতে বাংলাবাজার ইউনিয়নের বরইউড়ি গ্রামের শাহ আলমের পুত্র আবু সুফিয়ানকে (২২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মামলার আসামিরা হলেন বাংলাবাজার ইউনিয়নে রবরইউড়ি গ্রামের শাহ আলমের পুত্র আবু সুফিয়ান (২২), মৃত ছমির উদ্দিনের পুত্র ইদ্রিছ আলী (২৬), ইদ্রিস আলীর পুত্র সজিব মিয়া (১৮), বাওয়ালীপাড়া গ্রামের মামুন মিয়া (১৯), বরইউড়ি গ্রামের মজনু মিয়ার পুত্র শাকিল মিয়াসহ (১৮)। এছাড়া মামলায় আরো ১৫ থেকে ২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
দোয়ারাবাজার থানার ওসি বদরুল হাসান বলেন, একতারা প্রতীকের মিছিলে হামলার ঘটনায় প্রার্থীর স্ত্রী লায়লী আক্তার লাকী বাদী হয়ে থানায় এজাহার দেন। পুলিশ অভিযোগটি আমলে নিয়ে মামলাটি রেকর্ড করেছে। এতে ৫ জনকে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। বাকি আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের মৌলভীর দোকানের পয়েন্ট হতে একতারা প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ আবু সালেহ'র সমর্থকেরা একটি মিছিল বের করেন। মিছিলটি বরইউড়ি মাদ্রাসায় গেলে নৌকার প্রার্থীর কয়েকজন সমর্থক ‘নৌকা নৌকা’ বলে মিছিলে অতর্কিত হামলা চালান। দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একপর্যায়ে তারা একতারা প্রতীকের নির্বাচনি অফিস ও প্রার্থীর বাড়িতে ভাঙচুর করেন। এতে কমপক্ষে ৬ জন আহত হন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল