ঘড়ির কাটায় তখন ঠিক সকাল সাড়ে ১০টা। কেমলমাত্র শীতের আভা কেটে রোদ উঠতে শুরু করেছে। পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌর শহরের খেপুপাড়া সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভোট কেন্দ্র থেকে ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন ষাটোর্ধ আবুল কালাম আজাদ। হুইল চেয়ারে চড়ে অসুস্থ শরীর নিয়ে ভোট দিতে আসেন তিনি। কথা হয় এই প্রতিবেদকের সঙ্গে। তিনি বলেন, এটাই মনে হয় জীবনের শেষ ভোট । হয়তো আর নাও দিতে পারি। যার জন্য ভোট কেন্দ্রে আসলাম। তবে পছন্দের প্রার্থীকে শান্তিপূর্ণ ও সুন্দর পরিবেশে ভোট দিতে পেরেছেন এতেই তিনি খুশি।
জানা গেছে, পটুয়াখালীর-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ পরিবেশের মধ্য দিয়ে ১১০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহন সম্পন্ন হয়েছে। সকাল থেকে কোনো কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন চোখে পড়েনি। তবে ভোটগ্রহণের শেষ পর্যন্ত কম-বেশি ভোটাররা ভোট দিতে এসেছেন। রবিবার সকাল আটটায় ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলে একটানা বিকাল ৪ টা পর্যন্ত। এ আসনটিতে ২ লাখ ৯০ হাজার ৬৮৮ জন ভোটারের বিপরীতে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এ আসনে বেশ কয়েকটি ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার জানান, শান্তিপূর্ণ পরিবেশের মধ্যেই ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে পুরো নির্বাচনী এলাকা নিরাপত্তার চাঁদরে ঢাকা ছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এ উপজেলায় ৪ প্লাটুন সেনাবাহিনী, ২ প্লাটুন বিজিবি, বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও আনসার সদস্য দায়িত্বপালন করেছেন। এছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেদের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে।
নীলগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, এই কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩৭৩৮ জন। এর মধ্যে দুপুর ২টা পর্যন্ত ১২৮৬ জন ভোটার ভোট দিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. জাহাঙ্গির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল