ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

কুষ্টিয়ায় বসুন্ধরার কম্বল পেল আরো ১২০০ জন
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ায় শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দরিদ্র অসহায় মানুষের দুর্দশাও বেড়েছে। এসব মানুষের দুর্দশা লাঘবে এগিয়ে এসেছে দেশের সর্ববৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ। গ্রুপের পক্ষ থেকে শুভসংঘের সহযোগিতায় গতকাল সোমবার চতুর্থ দিনের মতো ১ হাজার ২০০ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

এদিন সকাল ৭টায় কুষ্টিয়া শহরের পত্রিকা বিক্রেতাদের হাতে ১০০ কম্বল তুলে দেন বসুন্ধরা শুভসংঘের সদস্যরা।

এরপর সকাল ১০টার দিকে উপজেলার আল্লারদর্গায় নুরুজ্জামান বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজের মাঠে ৫০০ জন অসহায়-দরিদ্র মানুষের হাতে কম্বল তুলে দেওয়া হয়।

এরপর সীমান্ত এলাকার অবহেলিত জামালপুর গ্রামের পাকুড়িয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৫০০ মানুষের হাতে বসুন্ধরার কম্বল তুলে দেন বসুন্ধরা শুভসংঘের সদস্যরা। সন্ধ্যায় শহরের রিকশা ও ভ্যানচালকদের হাতে আরো ১০০ কম্বল তুলে দেওয়া হয়। 

দৌলতপুরে কম্বল বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন ইউএনও ওবায়দুল্লাহ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান, বসুন্ধরা শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, কুষ্টিয়া জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও কালের কণ্ঠ’র নিজস্ব প্রতিবেদক তারিকুল হক তারিক, প্রাগপুর ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম মুকুল, হোগলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিম চৌধুরী, কুষ্টিয়া জেলা প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজু আহমেদ, বসুন্ধরা শুভসংঘ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কাকলী খাতুন, দৌলতপুর উপজেলা শাখার সভাপতি তানিম রহমান সুইটসহ শুভসংঘের সদস্যরা।

এর আগে গত শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে কুষ্টিয়া জিলা স্কুল মাঠে ৭০০ অসহায়-দরিদ্র মানুষের হাতে কম্বল তুলে দিয়ে বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শারমিন আখতার। কুষ্টিয়া জেলায় ছয় দিনব্যাপী এ কার্যক্রমে বসুন্ধরা গ্রুপের উদ্যোগে সাত হাজার কম্বল বিতরণ করা হবে। তার মধ্যে গত চার দিনে জেলার পাঁচটি উপজেলার ১২টি স্থানে এবং শহরের ছিন্নমূলসহ মোট ছয় হাজার সুবিধাবঞ্চিত মানুষের হাতে বসুন্ধরার নতুন কম্বল তুলে দেওয়া হয়।

কনকনে ঠাণ্ডায় কুষ্টিয়ার অসহায় হতদরিদ্র মানুষ কম্বল পেয়ে মহাখুশি।

লোকমান মোল্লা বলেন, ‘বৃদ্ধ বয়সে কাজ করতে পারি না। আমি বেকার ও গরিব মানুষ। গত কয়েক দিন খুব শীত পড়ছে। টাকার অভাবে কম্বল কিনতে পারিনি। শীতে খুব কষ্ট হচ্ছিল। বসুন্ধরার কম্বল পাইছি, একুন আর শীত নিয়া ভয় নাইকো। আমার মতো বহু মানুষ কম্বল পাইছে। আমাদের অনেক উপকার হলো। বসুন্ধরা গ্রুপের কম্বল পেয়ে খুব খুশি লাগছে। বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকের জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল।’

হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিম চৌধুরী বলেন, ‘দেশের সর্ববৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ দরিদ্র অসহায় মানুষের দিকে সহায়তার হাত বাড়িয়েছে। এই শীতে দরিদ্র মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করছে। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা এ ধরনের ভালো কাজ করছেন। অসহায় মানুষকে সহযোগিতা করছেন। এই মহতী উদ্যোগের কারণে দরিদ্ররা উপকৃত হচ্ছে। বসুন্ধরা গ্রুপের মতো সমাজের বিত্তবানদেরও নিজ নিজ অবস্থান থেকে হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত। মহতী উদ্যোগের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের মালিক ও কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’

দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ওবায়দুল্লাহ বলেন, ‘দেশের সর্ববৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ দরিদ্র অসহায় মানুষের দিকে সহায়তার হাত বাড়িয়েছে। কনকনে শীতে দরিদ্র মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করছে। দীর্ঘদিন ধরে তারা এ ধরনের ভালো কাজ করে থাকে। অসহায় মানুষকে সহযোগিতা করে। এই মহতী উদ্যোগের কারণে দরিদ্ররা উপকৃত হচ্ছে। বসুন্ধরা গ্রুপের মতো সমাজের বিত্তবানদেরও নিজ নিজ অবস্থান থেকে হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত। মহতী উদ্যোগের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’

শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান মহোদয়ের নির্দেশনায় অসহায় দরিদ্র মানুষের হাতে শীতবস্ত্র দেওয়া হচ্ছে। জেলায় সাত হাজার মানুষকে শীতবস্ত্র দেওয়া হবে। দীর্ঘদিন ধরে বসুন্ধরা গ্রুপ প্রতিবছর শীতের সময় এই কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। আগামী দিনেও শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর