দিনাজপুরের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহ। কনকনে শীতে দিনাজপুরের বিভিন্ন উপজেলায় বেড়েছে ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্ট রোগীর সংখ্যা। বর্তমানে শ্বাসকষ্ট রোগে আক্রান্ত রোগীর চেয়ে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেশি বলে জানায় স্বাস্থ্য বিভাগ। শীত বাড়ার সাথে বিভিন্ন উপজেলায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যায়। তাই জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগের প্রতিদিন চাপ বাড়ছে। সেই সাথে জ্বর-সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টের রোগীর সংখ্যা তুলনাম‚লক বেশি বলে জানা যায়। খানসামাসহ বিভিন্ন উপজেলার হাসপাতালেও একই অবস্থা। জেলা সিভিল সার্জন অফিস জানায়, জেলায় গত ১৫ জানুয়ারি থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল,২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালসহ ১২টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমনে ৮৮৫ জন এবং ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত ২৫৯৯ জন রোগী ভর্তি হয়েছে।
খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখা যায়, পুরুষ, মহিলা ও শিশু ওয়ার্ডে প্রতিদিন ৫৫-৬০ জন রোগী ভর্তি হলেও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন ১০-১২ জন ও শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ৭-৮ জন রোগী ভর্তি হচ্ছেন। অন্য সমস্যার রোগী ও ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেশি হলেও রোগীদের সেবা দিচ্ছে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স-মিডওয়াইফ ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। সেই সাথে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও কমিউনিটি ক্লিনিকেও রোগীর ভিড় বাড়ছে। খানসামা হাসপাতালের জরুরী বিভাগে সেবা নিতে আসা আহসান হাবীব আসেন তার দুই বছরের ছেলেকে নিয়ে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ভর্তি করান হাসপাতালে। ডায়রিয়া ও চেহারা ফ্যাকাসে হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করেছি এবং চিকিৎসা সেবা চলছে।
খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. শামসুদ্দোহা মুকুল বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ডায়রিয়া রোগী বেড়েছে। এ সময় সবাইকে সচেতন থাকতে হবে এবং শিশুদের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। পাতলা পায়খানা শুরু হলে মুখে খাবার স্যালাইন বার বার খাওয়াতে হবে। প্রয়োজনে হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এএ