ঢাকা, বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

চন্দ্রমল্লিকার হরেক বাহার
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

শুভ্র, সুশোভিত ও রক্তরাঙা এই রঙিন ফুলের আছে হরেক রকম রূপ। চন্দ্রমল্লিকার সৌন্দর্যের কারণে এই ফুল গোটা বিশ্বেই সুপরিচিত। এরই মধ্যে রাজশাহীর খরা প্রবণ বরেন্দ্রের লাল মাটিতে আমের সাথী ফসল হিসেবে একই বাগানে পত্রপল্লব মেলেছে সুশোভিত ও সুমোহিত ফুল চন্দ্রমল্লিকা। এ মুলুকে ফুলপ্রেমী মানুষের অখণ্ড অবসর বিনোদনের মধ্যমণি হয়ে উঠেছে চন্দ্রমল্লিকা এখনই। প্রায় ১২ হাজার চন্দ্রমল্লিকা হৃদয়ে রঙ ছড়িয়েছে ডিমার্স গার্ডেনে।

কৃষি পর্যটনে দিন বদলের স্বপ্ন দেখাচ্ছে চন্দ্রমল্লিকা। সবার হয়ে সেই স্বপ্নের বীজ বুনেছেন জুবেরী হাসান। তিনি একজন অগ্রগামী উদ্যোক্তা। তার গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার পৌর সদরের পুরাতন বাজার এলাকায়। সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিয়ে আমচাষ এবং ব্যবসায় যুক্ত আছেন। রাজশাহী শহর থেকে নয় কিলোমিটার দূরে দামকুড়ার পলাশবাড়িতে পুকুরসহ ১৩ বিঘা জমির ওপর বিশাল আমবাগান আছে তাদের। ওই বাগানে ভেতরই সাথী ফসল হিসেবে পরীক্ষামূলকভাবে রাজসিক ফুল টিউলিপের চাষ করেছিলেন। এবার টিউলিপ চাষ করেছেন। তবে টিউলিপ এখনও ফোটেনি। তবে চন্দ্রমল্লিকার হরেক রঙের বাহার হৃদয় কাড়ছে সবার।

রঙিন ফুলের বিমোহিত সৌন্দর্যে পুরো প্রকৃতিই যেন মাতোয়ারা হয়ে উঠেছে। প্রকৃতির হিমশীতলতায় সুশোভিত হয়ে গাছে গাছে ফুটে আছে লাল, গোলাপি, কমলা, লাল-কমলা, গোলাপি-লাল ও সাদা সফেদ রঙের চন্দ্রমল্লিকা। এর সঙ্গে পুরো আম বাগানজুড়ে আরও আছে গাঁদা, গ্লাডিওলাস, পিটুনিয়া, সেলোসিয়াসহ প্রজাতির ফুল। তবে, এত ফুলের বাহার থাকলেও এই বাগান থেকে কোনো ফুল বিক্রি করা হয় না। 

 ‘ড্রিমার্স গার্ডেনের মালিক জুবেরী হাসান জানান, এবার চন্দ্রমল্লিকার বিশাল সংগ্রহ গড়েছেন।  তিনি নিজেও আগে এতো রঙের চন্দ্রমল্লিকা দেখেননি। দর্শনার্থীরা এসে ফুলের এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।

জুবেরী হাসান বলেন, আম ফলে নির্দিষ্ট মৌসুমে। আম গাছে মুকুল আসা থেকে শুরু করে মোটামুটি বছরের ছয় মাস ফল থাকে। এরপর বাকি সময়টা বাগানের জমি প্রায় পড়েই থাকে। এই সময়টা কিভাবে কাজে লাগানো যায়, সেই চিন্তা থেকেই এই ফুলের বাগান। শুরুর দিকে আমের বাগানের মধ্যে ফুল বাগান করার বিষয়টি সবাই বাধা দিয়েছে। কিন্তু তারপরও কেবল মনের জোরেই নতুন এই চ্যালেঞ্জ নেই।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল



এই পাতার আরো খবর