বাগেরহাটের মোংলায় মৎস্য অফিসের মেরিন ফিসারিজ কর্মকর্তাকে ঘুষ না দেওয়ায় মৌসুম শুরু হয়ে গেলেও চিংড়ি ঘের প্রস্তুতসহ রেনু পোনা সংগ্রহ করতে না পারার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কাইনমারী বাগদা চাষি ক্লাষ্টার- ১ গ্রুপের নারী সদস্যরা সংবাদ সম্মেলনে মেরিন ফিসারিজ অফিসার মো. হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছে। তারা জানান, দাবিকৃত কমিশন বাণিজ্যে সাড়া না দেয়ায় সরকারী বরাদ্দের টাকাও তুলতে পারছেন না তারা।
রবিবার দুপুরে মোংলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার কাইনমারী বাগদা চাষি ক্লাষ্টার-১ গ্রুপের সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌসী। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০২৩ সালে সরকারিভাবে ২৫ জন নারী বাগদা চিংড়ি চাষের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। পরে উপজেলা মৎস্য অফিসের তত্ত্বাবধানে তারা সফলভাবে মৎস্য চাষ করে আসছেন। কিন্তু পরবর্তীতে প্রাকৃতিক দুর্যোগে তাদের মাছের পোনা নষ্ট হওয়ায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হন। এ অবস্থায় সরকারিভাবে মৎস্য চাষে নারী চিংড়ি চাষিদের জন্য বরাদ্দ হওয়া ‘সাসটেইনেবল কোষ্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প’র টাকা আনতে গেলে মেরিন ফিসারিজ কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন টাকা ছাড় করানো বাবদ এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। চাহিদাকৃত ওই ঘুষের টাকা দিতে না পারায় ও বরাদ্দের টাকা ছাড় করাতে না পারায় দরিদ্র এসব নারী চিংড়ি চাষিরা চরম বিপাকে পড়েছেন। ফলে মৌসুমের শুরুতে এখনও তারা ২৫টি চিংড়ি ঘেরে বাগদার রেনু পোনা ছাড়তে পারেননি।
এ বিষয়ে সদ্য যোগদান করা মোংলা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অঞ্জন বিশ্বাসের কাছে অভিযোগ দিয়েও লাভ হয়নি বলেও জানান তারা।
অভিযোগের বিষয়ে মেরিন ফিসারিজ কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ওই সকল নারী চাষিরা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বলছে। এসময় তিনি নিজেকে 'নির্দোষ' দাবি করেই ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।
মোংলা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অঞ্জন বিশ্বাস বলেন, এ বিষয়ে মেরিন ফিসারিজ কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে তদন্ত করে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার ঘুষ চাওয়ার বিষয়টি ইতোমধ্যেই উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল