ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

মুকুলে ভরে উঠেছে দিনাজপুরের লিচু বাগান
রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

ফাল্গুনের শুরুতেই দিনাজপুরের লিচুর গাছে গাছে মুকুলের সমারোহ। আর মৌ মৌ গন্ধ। যদিও ফাল্গুন মাসের আগেই অনেক এলাকায় গাছে মুকুল আসা শুরু হয়েছে। গাছে গাছে শতকরা ৬০ ভাগ মুকুল এসে গেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবারও লিচুর বাম্পার ফলনের আশা সবার। 

মিষ্টি ও রসালো স্বাদ আর বৈশিষ্ট্যেে জন্য বিখ্যাত দিনাজপুরের লিচু। বিভিন্ন জাতের লিচুর মধ্যে বেদানা, বোম্বাই, মাদ্রাজি, চায়না-থ্রি আর দেশী লিচুর মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে গাছের ডালপালা। লিচু বাগানগুলোতে শুধু মুকুলের সমারোহ। দিনাজপুর সদরের মাসিমপুর, কসবা, বাশেরহাট, পুলহাট, পাচবাড়ি, বিরল উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলায় এবার লিচু গাছের ডালে ডালে মুকুল এসেছে।   অন্যান্য জাতের লিচু গাছের মুকুল দেখে অনেক মালিক আশাবাদী, বাগান বিক্রি করে এবারও লাভবান হবেন বলে আশা করছেন। বৈশাখ মাসে লিচু পাকা শুরু হয় এবং বাজারে পাওয়া যাবে। এরই মধ্যে লিচু বাগান নিয়ে বেচা-কেনা শুরু হয়েছে। এ অঞ্চলে লিচু বাগান নিয়ে ৪ মাস ব্যবসা চলবে। 

পুলহাট-মাসিমপুরের আসাদুজ্জামান লিটন জানান, দিনাজপুরের দক্ষিণ কোতয়ালী ও মাসিমপুরসহ আশেপাশে কিছু এলাকায় ভিটা, জমি, বসতবাড়ি এবং ডাঙ্গা জমিতে লাগানো গাছই ছিল লিচুর আবাদ। কিন্তু এখন ব্যাপক আকারে বিস্তৃত হয়েছে এই লিচুর চাষ। অনেকে লিচুর বাগানে বিভিন্ন সবজিরও চাষ করছেন। এতে লাভবান আরও বেশি হচ্ছেন তারা।    সংগঠক ও উদ্যেক্তা মোসাদ্দেক হোসেন জানান, একটি বড় গাছে ২০ থেকে ২৫ হাজার পর্যন্ত এবং সবচেয়ে ছোট গাছে ১ থেকে দেড় হাজার লিচু পাওয়া যায়। 

উল্লেখ্য, এক দশক যাবত অবিশ্বাস্য গতিতে বৃহত্তর দিনাজপুরের বিভিন্ন উপজেলায় লিচুর চাষ বেড়েছে। জেলা সদরসহ কাহারোল, বিরল, চিরিরবন্দর, বীরগঞ্জ প্রভৃতি উপজেলায় এই ফলের চাষাবাদ বাড়ছেই। দিনাজপুরের লিচু সুস্বাদু ও মিষ্টি হওয়ায় দেশব্যাপী গণ্ডি ছাড়িয়ে গত বছর বিদেশেও রপ্তানি হয়।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্রমতে, গতবছর দিনাজপুর জেলায় ৫ হাজার ৬৮০ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হয়েছে। যার উৎপাদন ২৫ হাজার মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যায়। এবার লক্ষ্যমাত্রা পুনঃনির্ধাারণের কাজ চলমান।

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল



এই পাতার আরো খবর