বগুড়া সদরে ফসলের জমিতে সেচের পানি দেওয়ার ঘটনায় প্রতিপক্ষের হামলায় আব্দুল করিম (৫৫) নামের এক ব্যবসায়ীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১ টায় সদর উপজেলার নামুজা ইউনিয়নের বগারপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত করিম ওই গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে ও পেশায় সেচ যন্ত্রের মালিক। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
বগুড়া সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নূর জাহিদ বলেন, বগারপাড়া গ্রামের আলাল মিঞা নামের অপর এক সেচ যন্ত্রের মালিকের সাথে জমিতে পানি সরবারহের ব্যবসাকে কেন্দ্র করে করিমের বিবাদ চলে আসছিল। সকালে তিনি শ্যালক খায়রুলকে নিয়ে নতুন কিছু ফসলী জমিতে সেচ যন্ত্রের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করতে গেলে আলাল ও তার অজ্ঞাত দুই সহযোগী বাধা দেয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হলে করিম জমির মধ্যে লুটিয়ে পড়েন ও জ্ঞান হারান। এ অবস্থায় দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে তাকে শজিমেক হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর থেকে আলাল ও তার সহযোগিরা পলাতক রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হাতাহাতির একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের ধাক্কায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে করিম মারা গেছেন। এ ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল