ঢাকা, বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

অভিনব পদ্ধতি: বাঁচছে সূর্যমুখী, বাঁচছে পাখি
অনলাইন ডেস্ক

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় শুরু হয়েছে সূর্যমূখী ফুলের আবাদ। তাই ক্ষেতের বীজ রক্ষায় ফাঁদ নয় অভিনব কৌশলে পাখি তাড়াচ্ছেন কৃষকরা। উপজেলার বিস্তীর্ণ ক্ষেত জুড়ে পুঁতে রাখা লাঠির মাথায় সাঁটানো হয়েছে ছোট বড় রঙ বেরঙের পলিথিন। এসব পলিথিন বাতাসে দোল খাচ্ছে। সেই সাথে শোঁ শোঁ শব্দে চলে যাচ্ছে পাখি। শুধু পলিথিনই নয় পুরানো ক্যাসেটের ফিতা ও প্লাটিকের বস্তাসহ অনেক ক্ষেতে সাঁটানো হচ্ছে কাকতাড়ুয়াও। এতে পাখির কবল থেকে রক্ষা পাচ্ছে সূর্যমুখী বীজ। আর উপকৃত হচ্ছেন কৃষকরা।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, ক্ষেতে বীজ রোপণের পর শালিকসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ঝাঁকে ঝাঁকে আসে, বীজ খেয়ে ফেলে। বার বার বীজ রোপণ করেও তা রক্ষা করতে পারছিলেন না। তাই পাখির কবল থেকে বীজ রক্ষায় ফাঁদের পরিবর্তে এমন পদ্ধতি অবলম্বন করছেন তারা। 

মহিপুর ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের মনির মিয়া জানান, তিনি ৯০ শতাংশ জমিতে সূর্যমূখীর আবাদ করেছেন। দুই বার বীজ রোপণের পরও রাখতে পারেননি। ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি বসে সব নষ্ট করে দিয়েছে। এখন তৃতীয়বারের মতো রোপণ করে ক্ষেতের সব জায়গায় পলিথিন টাঙিয়ে দিয়েছেন। পলিথিনের শোঁ শোঁ শব্দে ক্ষেতে আর পাখি বসছে না। একই এলাকার তৃষ্ণা রানী জানান, তিনি পলিথিন পদ্ধতি অবলম্বন সম্পর্কে জানতেন না। যার কারণে দুই তিন বার করে বীজ রোপণ করতে হয়েছে। তবে এবছর বীজ রোপণের পরপরই ক্ষেতে পলিথিন টাঙিয়ে দিয়েছেন। ফলে পাখিতে বীজ নষ্ট করতে পারেনি। 

ফাঁদ না পেতে এই অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন করায় কৃষকদের সাধুবাদ জানান এনিমেল লাভারস অফ পটুয়াখালীর কলাপড়া শাখার টিম লিডার রাকায়েত আহসান। তিনি সাংবাদিকদের জানান, পলিথিন পদ্ধতি ব্যবহার করার কারণে মারা পরছে না পাখিরা। আবার এতে উপকৃত হচ্ছে কৃষকরা।  

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এআরএম সাইফুল্লাহ জানান, গত বছর ৫০০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর আবাদ হয়েছিলো। এবছর ৮৫০ হেক্টর জমিতে সূর্যমূখীর আবাদ হয়েছে। এই উপজেলা দিন দিন বাড়ছে সূর্যমুখীর আবাদ বাড়ছে। সূর্যমুখীর বীজ রক্ষায় কৃষকদের এই অভিনব পদ্ধতি আমরা সকল কৃষকের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই।

  বিডি প্রতিদিন/নাজমুল



এই পাতার আরো খবর