ঢাকা, শনিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

রংপুরে জমে উঠেছে ঈদ বাজার
নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর:

ঈদুল ফিতরের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই ঈদের কেনা-কাটা বাড়ছে। রংপুরে ঈদ বাজার ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমাগমে মুখর হয়ে উঠেছে। মেগামল, মার্কেট, ফুটপাতসহ সবস্থানেই ভিড়। বিশেষ করে সন্ধ্যার পরে ক্রেতা বিক্রেতারা কেনাকাটা করছে গাদাগাদি করে।  

উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে খেটে খাওয়া মানুষ যার যার সাধ্যমত কেনাকাটা করছেন। ফলে জমজমাট ভাবে চলছে ঈদ বাজার। বড় বড় বিপণী বিতানের পাশাপাশি ফুটপাটের দোকানদাগুলোতে কেনাকাটায় মানুষের পদচারনা মুখর। ফুটপাতের দোকানগুলোতে  খেটে খাওয়ার বিভিন্ন পেশার মানুষের ভিড়ই বেশি। শহরের সালেক মার্কেট, স্টেশন মার্কেট, জামাল মার্কেট, হনুমানতলা মার্কেটগুলোতে মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের সংখ্যাই বেশি। জেলা পরিষদ সুপার মার্কেট, জাহাজ কোম্পানি শপিং কমপ্লেক্স, গোল্ডেন টাওয়ার বিপণী বিতান, রজনীগন্ধা, শাহ আমানত, কারুপণ্য, সিটি প্লাজা, মতি প্লাজাসহ বড় বড় বিতনী বিতানগুলোতে উচ্চ আয়ের মানুষ কেনাকাটার জন্য ভীড় করছে। এছাড়া বিভিন্ন মেগামলে ক্রেতার ভিড় ছিল সবচেয়ে বেশি।     বিপণী বিতান ও মেগামলে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে ঈদ প্রতাশি মানুষ। যার যার সামর্থ অনুযায়ী নতুন পোশাক ক্রয় করছে। বড় বড় বিপনী বিতানগুলোতে বাছাই করা কাপড় শো-রুমে শোভা পাচ্ছে। সামর্থবানরা সব চেয়ে সুন্দর ডিজাইনের জামা-কাপড় ক্রয় করার চেষ্টা করছে তাদের প্রিয় জনের জন্য।     আবেদুল হাফিজ ও আব্দুল কাদের নামে দুইক্রেতা জানান, অভিজাত মার্কেট গুলোতে পণ্যের দাম কিছুটা বেশি। প্যান্ট, শার্ট, থ্রী পিছ, শাড়ি ও তৈরি পোশাকসহ সব পণ্যের দাম গতবারের তুলনায় ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা বেশি। শহরের কমদামি মার্কেট হিসাবে পরিচিত হনুমানতলা বাজারে ক্রেতাদের উপচে পড়া বিড় লক্ষ্যকরা গেছে। জেলা পরিষদ সুপার মার্কেটের  বিভিন্ন দোকানে পাকিস্তানি ও ভারতীয় থ্রি-পিস বিক্রি হচ্ছে। ভারত থেকে  আসা রাখী থ্রি-পিসের চাহিদা রয়েছে।  জাহাজ কোম্পানি শপিং কমপ্লেক্স-এর ব্যবসায়ী আবেদ হোসেন বলেন, ঈদ উপলক্ষে এ মার্কেটে শুধু রংপুরের মানুষ নয় দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারি, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, বগুড়া, গাইবান্ধার ফ্যাশান সচেতন মানুষ ভিড় করছে। সবার চাহিদা দেশি কাডড়ের দিকে।  ব্যবসায়ী আলী হোসেন ও  আফজাল মিয়া জানান, এখন রেডিমেট পোশাক সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে শিশুদের পোশাক। এছাড়া থ্রী পিছ ৩০০ থেকে ১০ হাজার টাকা, শাড়ি ২৫০ থেকে ২৫ হাজার টাকা, প্যান্ট পিছ, ৪০০ থেকে আড়াই হাজার টাকা, শার্ট পিছ ২০০ থেকে তিন হাজার টাকা পর্য়ন্ত বিক্রি হচ্ছে।  মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি  রেজাউল ইসলাম মিলন জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ক্রেতা বেশি। তাই এবার ব্যবসায়ীদের দম ফেলার ফুসরত নেই। 

বিডি প্রতিদিন/এএম



এই পাতার আরো খবর