ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

কুষ্টিয়ায় ঈদের নামাজ পড়া নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৭
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়া সদরের বিত্তিপাড়ায় ঈদগাহ কমিটি গঠন ও ঈদের নামাজ পড়া নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৭ জন আহত হয়েছে। বিবদমান দুটি পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্থানীয় দুই আওয়ামী লীগ নেতা।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ওসি তদন্ত মো. তারেক জানান, থানা এলাকার বিত্তিপাড়া গ্রামে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে প্রথমে চড় থাপ্পড় পরে হালকা মারামারি হয়েছে। একজন গুরুত্ব আহত হয়েছেন। বাকীরা সামান্য। গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দুই পক্ষ এখন দুই দিকে অবস্থান করছে। তবে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বিত্তিপাড়া গ্রামে প্রভাব বিস্তার নিয়ে দুটি সামাজিক দলের বিরোধ অনেক পুরনো। এসময়ে একপক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন উজানগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বাক্কার সিদ্দীক ও অন্যপক্ষে বিত্তিপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন মেম্বার। গ্রামের ঈদগাহ কমিটি নিয়ে দুই পক্ষের মতানৈক্য চলছিল। এর মধ্যে ঈদের দিন নামাজের পর বসে একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব ছিল। কিন্ত ‍সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মাংস কিনতে গিয়ে দুই পক্ষের কর্মী রশিদ ও জামালের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়।

হোসেন মেম্বার গ্রুপের সমর্থক মিন্টু বিশ্বাস বলেন, এরপরই গ্রামের ব্রিজের ওপর বাক্কার গ্রুপের লোকদের মারধর করা হয়। পরে সাড়ে ৮টার দিকে ঈদের নামাজের জন্য ঈদগাহের দখল নিয়ে দুই গ্রুপের লোকদের সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষ হয়। সেখানে বাক্কার গ্রুপের যোয়াদ মন্ডল, আব্দুল্লাহ, শাহীন ও বাবু এবং হোসেন মেম্বার গ্রুপের রাজা ও মিন্টু আহত হন।

বাক্কার গ্রুপের সমর্থক কামাল হোসেন বলেন, আহত যোয়াদ মন্ডলের অবস্থা গুরুতর। তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। যোয়াদসহ ৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

আহতদের দেখতে গিয়ে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ বলেন, গ্রামে পুলিশ মোতয়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।

 

বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ



এই পাতার আরো খবর