ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

দৃষ্টিনন্দন কাঠের সেতুতে উপচে পড়া ভিড়
রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর
দৃষ্টিনন্দন কাঠের সেতুতে উপচে পড়া ভিড়

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ঐতিহাসিক আশুড়ার বিল ও অপরূপ মনোমুগ্ধকর শালবনকে একই সুতোয় গেঁথেছে আকাঁবাকাঁ দৃষ্টিনন্দন কাঠের সেতু। আর এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে ঈদুল ফিতরের ছুটিতে ভিড় জমেছে পর্যটকদের। ঈদের দিন থেকে আজও উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।

প্রাকৃতিক শালবনে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। আশুড়ার বিলে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। কাঠের সেতুতে দাঁড়িয়ে বিল আর দু’পাশের বনের দৃশ্য দেখতে কাছে টানছে ভ্রমণপিপাসুদের। এই দৃশ্য দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছে পর্যটকরা। এই বিল সারা বছরই দর্শনার্থীদের প্রিয় স্থান হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠছে।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা বিশাল আয়তনের বিলটির সৌন্দর্য রক্ষার্থে এবং সারাবছর পানি ধারণের জন্য ক্রস ড্যাম নির্মাণ করা হয়েছে। যদিও বর্তমানে অনেকটা শুকিয়ে যাওয়ায় ধান চাষ হয়ে সবুজের সমারোহ। দুই শালবনের মাঝ দিয়ে আশুড়ার বিল। আর দুই বনকে সংযুক্ত করতে বিলের মুনির থান ঘাট থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে ভ্রমণপিপাসুদের সুবিধার্থে শাল কাঠ দিয়ে উত্তরবঙ্গের বৃহৎ ৯০০ মিটার জেড আকৃতির দৃষ্টিনন্দন আঁকাবাঁকা কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয় এবং নামকরণ করা হয় ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কাঠের সেতু’।

বিলের পানি, মুক্ত বাতাস, চারপাশে সবুজ ঘন অরণ্য, পাখিদের কিচিরমিচির ডাকাডাকি এসব মনোমুগ্ধকর দৃশ্য প্রকৃতিপ্রেমীদের অন্তরে অন্যরকম শিহরণ জাগিয়ে তোলে। রাতে আশুড়ার বিলের উপর দৃষ্টিনন্দন শেখ ফজিলাতুন্নেছা কাঠের সেতুতে আলোকবাতি ছাড়াও বনের পাশে ল্যাট্রিন, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা রয়েছে।

দর্শনার্থী ইয়ামেন সরকার, সানাউল্লাহসহ কয়েকজন জানান, দুই শালবনের মাঝে এই দৃষ্টিনন্দন সেতুতে সবুজ প্রাকৃতিক পরিবেশে নিজেকে অন্যরকম মনে হয়। সন্ধ্যার পর আলোকবাতি বাড়তি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। সেতুর বামদিকে পানি শুকিয়ে থাকায় ধান চাষে সবুজ সমারোহ, অন্যদিকে অল্প পানি আছে। দেখতে যে কেউ মুগ্ধ হবে। তবে বিলটিতে পানি ধরে রাখতে এবং নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে উত্তর পশ্চিম দিকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে জাতীয় উদ্যানের শালবনের কোল ঘেঁষে এ বিলের অবস্থান। আশুড়ার বিলের নবাবগঞ্জ ও বিরামপুরের এলাকা নিয়ে আয়তন ৩১৯ হেক্টর। এর মধ্যে নবাবগঞ্জে ২৫১ হেক্টর অবস্থিত। এই বনে শাল ছাড়াও সেগুন, গামার, কড়াই, বেত, বাঁশ, জামসহ প্রায় ২০ থেকে ৩০ প্রজাতির গাছ-গাছড়া রয়েছে। এখনো এ বিলটিতে অনেক হারিয়ে যাওয়া প্রজাতির মাছ জেলেদের হাতে ধরা পড়ে। উত্তরবঙ্গের বৃহৎ এ বিলটি লম্বায় ৫ কিলোমিটার।

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর