বান্দরবানের রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে অস্ত্র ও টাকা লুট এবং ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরও চারজনকে আটক করা হয়েছে। রবিবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এ নিয়ে রুমা ও থানচির তিনটি ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১৮ নারীসহ মোট ৬২ জনকে কারাগারে পাঠানো হলো।
রবিবার দুপুরে আসামিদের বান্দরবান চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এএসএম এমরান আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী জানান, শনিবার বান্দরবান সদর উপজেলা ও রুমার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে রুমা উপজেলার জাদি ফাই পাড়ার লাল রৌয়ত বম (আপেল) (২৭), রুমা উপজেলার মুননুয়ামপাড়ার মিথুসেল বম (আমং) (২৫), বান্দরবান সদর উপজেলার কানাপাড়ার বাসিন্দা লাল রুয়াত লিয়ান বম (৩৮) ও বান্দরবান সদরের কুহলং ইউনিয়নের চিনলুং পাড়ার লাল লম থার বমকে (আলম) (৩১) আটক করা হয়। রবিবার আটক ব্যক্তিদের বান্দরবান চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ২ এপ্রিল রাতে রুমা উপজেলার সদরের সোনালী ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা, অস্ত্র ও টাকা লুট ও ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ এবং পরদিন ৩ এপ্রিল পাশের থানচি উপজেলার সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকের ক্যাশ কাউন্টার থেকে টাকা লুট করে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট’র (কেএনএফ)’ সশস্ত্র সদস্যরা। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রুমা ও থানচি থানায় ৮টি এবং সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এমআই