মারমা সম্প্রদায়ের সপ্তাহব্যাপী সাংগ্রাই উৎসবে মাতোয়ারা পাহাড়। বর্ণাঢ্য র্যালি ও জলকেলির মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে মারমা সম্প্রদায়ের উৎসব। পানখাইয়া পাড়া বটমূলে প্রতিদিন ‘দ’ খেলা, ঘিলা খেলা, পানি ছিটানো, হা-ডু-ডু সহ নানান ঐতিহ্যবাহী খেলায় মেতে উঠেছেন মারমা তরুণ-তরুণীরা।
এসব উৎসবে সামিল হতে সমতল জেলাগুলো থেকেও অনেক লোকজন ভিড় করছে। ঈদ-উল-ফিতর ও বাংলা নববর্ষ এক সাথে হওয়ায় ছুটিতে পরিবার পরিজন নিয়ে বৈসাবী উৎসবে প্রতিবছরের ন্যায় এবারে আরো অংশ নিয়েছে বহু পর্যটক। রবিবার থেকে শুরু হওয়া পানখাইয়া পাড়া বটামূলে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো: আমান হাসান, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, খাগড়াছড়ি ডিজিএফআই’র ডেট কমান্ডার কর্ণেল আব্দুল্লাহ মো: আরীফ, খাগড়াছড়ি সদর জোন কমান্ডার লে,কর্ণেল আবুল হাসনাত জুয়েল, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো: সহিদুজ্জামান,খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর ও খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরীসহ সরকারী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার প্রতিনিধিরা।
ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে তরুণ-তরুণীরা র্যালীতে অংশ গ্রহন করে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে। র্যালি শেষে সকলে পানি খেলায় মেতে উঠে । সিলেট থেকে আসা দিদার ও মাহবুব জানান, পাহাড়ের এই বৈসাবী উৎসবে সামিল হতে তারা এসেছে। এসব উৎসবে যোগ দিতে পেরে তারা উচ্ছাসিত। চট্টগ্রাম থেকে আসা চন্দন সাহা জানান, তিনি আগে কখনো সাংগ্রাই উৎসব দেখে নি। এমন ঐতিহ্যবাহী জলকেলির উৎসবে অংশ নিতে পেওে খুবই আনন্দিত। পুরাতন বছরের গ্লানি দু:খ মুছে যাবে সাংগ্রাই মৈত্রীর জলে এমন বিশ্বাস থেকে পানি খেলায় মেতে উঠে মারমারা। প্রতিদিন পানখাইয়া পাড়া বটমূলে চলছে মারমা সম্প্রদায়ের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী খেলাধূলা,নিজেদের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য ও গান পরিবেশন করছে শিল্পীরা। মারমা উন্নয়ন সংসদের আয়োজনে চলছে এসব অনুষ্ঠান মালা। এছাড়াও জেলার ৯টি উপজেলায় বৈসাবীর নানা ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান সূচি চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম