লক্ষ্মীপুরে সন্ত্রাসী হামলা ও গুলিতে আহত ছাত্রলীগ নেতা সজীব মৃত্যুবরণ করেছেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকার পপুলার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুর খবরে বুধবার সকাল থেকে স্থানীয় চন্দ্রগঞ্জ বাজার এলাকাজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বাজারে জড়ো হতে থাকে দলীয় নেতাকর্মীরা। এ সময় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে তারা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাংশের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। তারা সজীব হত্যাকারীদের শাস্তির দাবি করে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারিও দেন।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি মো. এমদাদুল হক বলেন, হামলা ও গুলির ঘটনায় সোমবার রাতে সজীবের মা বুলি বেগম বাদী হয়ে কাজী বাবলুকে প্রধান করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এতে আরও ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। পরে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার দ্বিতীয় আসামি থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম তাজু ভূঁইয়াসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে জেলা কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানান ওসি।
উল্লেখ্য, ১২ এপ্রিল রাতে একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফেরার পথে চন্দ্রগঞ্জ পাঁচপাড়ার যৈদের পুকুরপাড় এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মী সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী, মো. রাফি ও সাইফুল ইসলাম জয়ের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাদের ঢাকা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল