ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

পাগলা মসজিদের ৯ দানবাক্সে এবার মিললো ২৭ বস্তা টাকা, চলছে গণনা
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের ৯ টি দানবাক্স খুলে এবার পাওয়া গেছে ২৭ বস্তা টাকা। এখন চলছে গণনা।

ঐতিহাসিক এ মসজিদটিতে ৯ টি দানবাক্স রয়েছে। প্রতি তিন মাস পর পর এই বাক্সগুলো খোলা হয়। রমজানের কারণে এবার এবার খোলা হয়েছে ৪ মাস ১০ দিন পর। 

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক কাজী মহুয়া মমতাজের তত্ত্বাবধানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্তিতিতে শনিবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। নয়টি দানবাক্স খুলে পাওয়া গেছে ২৭ বস্তা টাকা। এখন চলছে গণনার কাজ।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে নয়টি দানবাক্স খোলা হয়। নয়টি দানবাক্সে ২৭ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এখন গণনার কাজ চলছে। গণনা শেষে কী পরিমাণ টাকা ও স্বর্ণালংকার জমা পড়েছে সেটা জানা যাবে।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ জানান, কঠোর নিরাপত্তার মাধ্যমে পাগলা মসজিদের দানবাক্সগুলো হয়েছে। টাকা গণনা শেষে ব্যাংকে পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে।

টাকা গণনা কাজে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, কর্মচারী ছাড়াও মাদ্রাসার ১১২ জন ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ জন স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ জন সদস্য অংশ নিয়েছেন।

এর আগে ২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর তিনমাস ২০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন ২৩ টি বস্তায় ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। ঐতিহাসিক এই মসজিদের দানবাক্সে একসঙ্গে এতো টাকা পাওয়াটা তখন ছিল নতুন রেকর্ড। এবার সে রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এছাড়াও মসজিদে নিয়মিত হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন অসংখ্য মানুষ।

জেলা শহরের হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে ৩ একর ৮৮ শতাংশ জমির ওপর দাঁড়িয়ে আছে মসজিদটি।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন



এই পাতার আরো খবর