ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

নেত্রকোনায় গরমে হাঁসফাঁস, হাসপাতালে রোগীর চাপ
নেত্রকোনা প্রতিনিধি

প্রচন্ড গরমে নেত্রকোনা জেলা সদর হাসপাতালে বেড়েছে রোগীর চাপ। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রোগীর চাপে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরাও। রবিবার সকাল থেকে নেত্রকোনা জেলা সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র। বিশেষ করে বৃদ্ধ শিশু ও প্রসূতিদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে গরমের এই তীব্রতা। স্থান নেই ডায়রিয়া, নারী ও শিশুসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডেও। অনেকেই চিকিৎসা নিয়ে চলে যাচ্ছেন বাসা বাড়িতে।

তারপরও রোগীর চাপ সামলানো কঠিন হয়ে পড়ছে নার্সসহ চিকিৎসকদের। হাসপাতালে কতজন রোগীর আনাগোনা বেড়েছে এ সংক্রান্ত তথ্য জানতে সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত বসে থাকলেও হাাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মোহাম্মদ একরামুল হাসানের দেখা পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনে ১১ টা ৩৬ মিনিট পর্যন্ত ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করনেনি। এরপর ১১ টা ৩৭ মিনিটে অফিস সহায়ক সাইদুল ইসলামকে ফোন দিলে তিনি জানান, স্যার বাসায় গেছেন। হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাক্তার আবু সাঈদ মো. মাহবুবুর রহমানকে ফোন দিলে তিনি সমন্বয় সভায় রয়েছেন বলে জানান।

পরবর্তীতে বেলা সোয়া ১২ টার পরে আবাসিক মেডিকেল অফিসার একরামুল হাসান অফিসে ঢুকলেও তিনি কোন কিছু জানাবেন না বলে সংবাদকর্মীর দিকে ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, অফিসে পারমিশন ছাড়া কেন ঢুকেছেন।

পাশাপাশি তিনি গত নভেম্বর মাসে এক প্রকাশিত সংবাদ বিষয়ে ক্ষুব্ধতা প্রকাশ করে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। তিনি স্যার সম্বোধন করে আগে আছেন কিনা জেনে ও পরে অনুমতি নিয়ে হাসপাতালে ঢোকার কথা বলেন। 

সাত বছর ধরে আছেন, প্রমোশন নেই উল্লেখ করে বারবার হাসপাতালে ঢোকার এবং ফটো তোলার কারণকেই তিনি অপরাধ মনে করছেন। এই অপরাধে স্টাফদেরকেও ডাকেন এক পর্যায়ে। তাদেরকেও সাংবাদিকদের ছবি তুলতে বলেন। 

তিনি বলেন, প্রয়োজনে ময়মনসিংহ বিভাগীয় পর্যায়ের পারমিশন নিতে। 

বিডি প্রতিদিন/হিমেল



এই পাতার আরো খবর