প্রচণ্ড গরম আর তাপদাহের কারণে অতিষ্ঠ জনজীবন। ফলে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে বাড়ছে রোগীদের ভিড়। বেশিরভাগ রোগী ডায়রিয়া, আমাশয়, ঠান্ডা, কাশি, জ্বরজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় রয়েছেন। যতদিন যাচ্ছে ততই রোগীর চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রচণ্ড গরমে শরীয়তপুর জেলা সদর হাসপাতালে বেড়েছে রোগীর চাপ। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রোগীর চাপে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরাও। রবিবার সকাল থেকে শরীয়তপুর জেলা সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র। বিশেষ করে বৃদ্ধ, শিশু ও প্রসূতিদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে গরমের এই তীব্রতা।
স্থান নেই ডায়রিয়া, নারী ও শিশুসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডেও। অনেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যাচ্ছেন বাসা বাড়িতে। তারপরও রোগীর চাপ সামলানো কঠিন হয়ে পড়ছে নার্সসহ চিকিৎসকদের।
শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রাজেশ মজুমদার বলেন, প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। পর্যাপ্ত বেডের ব্যবস্থা না থাকায় একটা বেডে দুই থেকে তিনজন করে রোগী থাকতে হচ্ছে। আসন সংখ্যার সীমিত থাকায় রোগীসহ ডাক্তার ও নার্সদের প্রচণ্ড চাপে পড়তে হচ্ছে। এসময় বিনা প্রয়োজনে বাসা থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। আর বের হলে অবশ্যই ছাতা এবং পর্যাপ্ত পানি নিয়ে বের হওয়ার জন্য পরামর্শ দেন ওই চিকিৎসক।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত