ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

আচরণবিধি লঙ্ঘন
আখাউড়ার পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা ও ইউপি চেয়ারম্যান মতিনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রচারণাকালে আচরণবিধি লঙ্ঘণ করে সরকারি কার্যালয় ব্যবহার, উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদানসহ এক চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ‘কুলাঙ্গার’ বলে সম্বোধন করায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল এবং উপজেলার মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মতিনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবারের মধ্যে তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে সশরীরে হাজির হয়ে লিখিতভাবে কারণ দর্শনোর জবাব দিতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম এই কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।

আখাউড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক মুরাদ হোসেন ভূইয়া (আনারস প্রতীক) ও মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের তিনবারের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মো. মনির হোসেন (ঘোড়া প্রতীক) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামী ২১ মে আখাউড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

নোটিশ সূত্রে জানা গেছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে। নির্বাচন উপলক্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থী মুরাদ হোসেন ভূইয়ার (আনারস প্রতীক) পক্ষে প্রচারণাকালে আওয়ামী লীগ নেতা ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান করেন। মোগড়া ইউনিয়ন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল নির্বাচনে ‘ঘোড়া প্রতীক’ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মো. মনির হোসেনকে ‘কুলাঙ্গার’ বলে সম্বোধন করেন। যা উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ)  বিধিমালা ২০১৬ এর অনুচ্ছেদ ১৮ এর পরিপন্থী। মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদ ব্যবহার করে নির্বাচনি প্রচারণা করা হয়, যা উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণবিধি) ২০১৬ এর অনুচ্ছেদ ৬ ও ১৮ লঙ্ঘনের কারণে তাকজিল খলিফার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে বুধবারের মধ্যে সশরীরে লিখিত জবাব প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

অপরদিকে মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদ ব্যবহার করে নির্বাচনি প্রচারণা করে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মতিন উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণবিধি) ২০১৬ এর অনুচ্ছেদ ৬ লঙ্ঘন করেছেন। নির্বাচন আচরণবিধি ২০১৬ এর অনুচ্ছেদ ৬ লঙ্ঘনের কারণে আবদুল মতিনের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে আগামী বুধবারের মধ্যে সশরীরে লিখিত জবাব প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত সোমবার বিকেলে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মুরাদ হোসেনের সমর্থনে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পৌরমেয়র তাকজিল খলিফা অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী মনির হোসেনকে কুলাঙ্গার বলে বক্তব্য দেন। পৌর মেয়রের এমন বক্তব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধির ১৮ ধারা ‘ক’ উপধারার পরিপন্থী।

এতে বলা আছে, নির্বাচনি প্রচারণাকালে ব্যক্তিগত চরিত্র হনন করে বক্তব্য প্রদান বা কোনো ধরনের তিক্ত বা উসকানিমূলক বা মানহানিকর কিংবা লিঙ্গ, সাম্প্রদায়িকতা বা ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে-এমন কোনো বক্তব্য প্রদান করতে পারবে না। এ ছাড়া একইদিন রাতে উপজেলার অন্য জায়গায় অনুষ্ঠিত এক সভায় বক্তব্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী মনিরকে ডাকাত বলে সম্বোধন করেন তাকজিল খলিফা।

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর