ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ডোমারে ভোটের ফলাফলকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনায় মামলা
নীলফামারী প্রতিনিধি

 নীলফামারীর ডোমার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে হামলা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতয়েন করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ২১ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহকারী ফারুক হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৫০০-৭০০ জনকে আসামি করে ডোমার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এর আগে গত বুধবার রাত ১০টার দিকে উপজেলা পরিষদ হলরুমে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট কেন্দ্রের ফলাফল পরিষদ হলরুমে গণনা চলছিল। এ সময় হলরুমের বাইরে শতাধিক লোক হৈ-হুল্লোড় করে হলরুমে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে হলরুমের চেয়ার টেবিল, নির্বাচনী ফলাফল সংগ্রহের কাগজপত্র সরঞ্জামদি নষ্ট হয়।

পুলিশ জানায়, ভোট গণনা শেষে প্রতিটি কেন্দ্রের খসড়া ফলাফলের চূড়ান্ত হিসাব চলছিল। এ সময় হলরুমে উপস্থিত নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও প্রার্থীসহ সংবাদ কর্মীরা ভেতরে আটকা পড়েন। ফলে সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায় ফলাফল ঘোষণা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধাওয়ায় হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

পরে রাত সোয়া ১১টার সময় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, উপজেলা প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে সহকারী রিটার্নিং ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার নুর-ই আলম ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন। এতে ৩১ হাজার ৪২১ ভোট পেয়ে টেলিফোন প্রতীকে সরকার ফারহানা আকতার সুমি বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের প্রার্থী তোফায়েল আহমেদ ২৩ হাজার ১৩৪ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। ফল ঘোষণার পর পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকরা উপজেলা পরিষদের মূল ফটকে আবারও হট্টগোলের সৃষ্টি করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ঘটনা ঘটে। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে ২১ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোঁড়ে।

ডোমার উপজেলা নির্বাচন ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার নুর-ই আলম বলেন, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

ডোমার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসীন আলী মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল



এই পাতার আরো খবর