ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

অসময়ে তিস্তার ভাঙন, রাস্তা-বসতভিটা নদীগর্ভে
নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় তিস্তা নদীর ভাঙন হঠাৎ করে তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে তিস্তার তীরবর্তী গ্রামের বাসিন্দাদের। ইতোমধ্যে ভাঙনে কাউনিয়া বালাপাড়া ইউনিয়নের পাঞ্জনভাঙ্গা ও গদাই গ্রামের কয়েকটি বসতভিটা, চলাচলের রাস্তা, ফসলি জমি, গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

জানা গেছে, তিস্তার অসময়ের ভাঙনে উপজেলার পাঞ্চরভাঙ্গা, ঢুষমারা, আরাজী হরিশ্বর, চরগনাই তালুক শাহাবজ, নিজপাড়া, গ্রামের কয়েকশ পরিবার রয়েছে হুমকির মুখে রয়েছে। গত দুই সপ্তাহে তিস্তার গ্রাসে পাঞ্চরভাঙ্গা গ্রামের অন্তত অর্ধশত পরিবারের বসতভিটা ও কয়েকশ বিঘা ফসলি জমি, বাঁশঝাড়, গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।   হঠাৎ নদী ভাঙনের কারণ হিসেবে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, তিস্তা সেতু নিকটে চর জাগায় পানি সোজা পথে সরাসরি যেতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে ডান তীরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে প্রায় ৫০০ মিটার এলাকা ভাঙনের শিকার হয়েছে। একটি চলাচলের রাস্তাও নদী গর্ভে চলে গিয়েছে। ভাঙন রোধে জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ নদীতে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ভাঙনের খবর পেয়ে গত বুধবার বিকালে পরিদর্শনে আসেন পানিউন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীসহ একাধিক কর্মকর্তা।

গদাই গ্রামের মোঃ হাফেজ উদ্দিন, মোঃ সুরুজ মিয়া, মোঃ বাবুল মিয়া,মোঃআনছার আলী, মোঃ তারা মিয়া, মোঃ ফুল মিয়াসহ অনেকে বসতভিটা  বিলীন হয়েছে। তারা বলেন, হঠাৎ করে নদী গর্ভে বসত ভিটা হারিয়ে যাওয়ায়  দিশেহারা হয়ে পড়েছে তারা। মাথা গোজার ঠাঁই টুকু নেই নদী ভাঙনে। 

নদীর পাড়ের তারামিয়া, বাবুল, শহিদুল, রাজ্জাক, ফুল মিয়া, আলেফ, শাহিন, মোস্তাক, আমজাদ, ওসমান, রফিকুলসহ অনেকেই জানালেন, তারা অতঙ্কে রয়েছি। 

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, ভাঙনের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।  দ্রুত জিও ব্যাগ ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ছে। 

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল



এই পাতার আরো খবর