সুন্দরবনে দুই ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালাচ্ছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ঘূর্ণিঝড়ে তীব্রতাও তত বাড়ছে। সুন্দরবনের দুবলা, কটকা, কোচিখালি ও হিরণ পয়েন্ট এলাকা এখন সাত থেকে ৮ ফুট পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে। দুবলা অস্থায়ী শুটকি পল্লীর কাঁচা ঘরসহ কয়েকটি বন অফিস ও টহল ফাঁড়ির রান্নাঘরসহ অফিসের টিনের চালা উড়িয়ে নিয়ে গেছে।
জলোচ্ছ্বাসের পানির তোড়ে দুবলা বন অফিস ঘাটের পল্টন সমুদ্রে হারিয়ে গেছে। সুন্দরবনের বিভিন্ন বন অফিস এলাকায় কর্মকর্তা ও বন্যপ্রাণিদের মিঠাপানির একমাত্র উৎস পুকুরগুলোও জলোচ্ছ্বাসের লোনা পানিতে তলিয়ে গেছে। সুন্দরবনের গাছপালারও ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। বাঘ হরিণসহ ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইড ম্যানগ্রোভ এই বনের বন্যপ্রাণিকূলের ভাগ্যে কি ঘটেছে তার নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি কেউ।
সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের কর্মকর্তা (এসিএফ) মাহবুব হাসান রাত ৯টায় সুন্দরবন থেকে জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঘূর্ণিঝড় রেমাল সুন্দরবনের উপর আছড়ে পড়ে। সময় যত গড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় রেমালের তীব্রতাও তত বাড়ছে। এখন তীব্র বেগে ঘূর্ণিঝড় রেমাল সুন্দরবনের উপরে আছড়ে পড়েছে।
সন্ধ্যার আগেই বগিসহ সুন্দরবনে অবকাঠামো দুর্বল থাকা বন অফিস ও টহলফাঁড়ি থেকে বন কর্মকর্তা ও বনরক্ষীদের নিরাপদের সরিয়ে আনায় তাদের প্রাণ রক্ষা পেয়েছে। সকাল না হওয়া পর্যন্ত সুন্দরবনের প্রাণ প্রকৃতির কি পরিমাণ ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে তা নিশ্চিত করে জানানো সম্ভব নয় বলে জানান এই কর্মকর্তা।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত