ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

পাহাড়ি ঢলে ডুবেছে সড়ক, সাজেকে আটকা শতাধিক পর্যটক
ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি
ফাইল ছবি

টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলে ডুবেছে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সড়ক। তাই সাজেকে আটকা পড়েছে শতাধিক পর্যটক। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন বাঘাইছড়ি উপজেলা কর্মকর্তা শিরীন আক্তার।

তিনি বলেন, সাজেকে আছে সব পর্যটক। নিরাপদেই আছে। সড়কের পানি কমে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হবে। তবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সড়কের উপর পাহাড়ি মাটি ধসে বিড়ম্বনা সৃষ্টি করেছে। সড়কের মাটি অপসারণের কাজ করছে খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপদ বিভাগ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে এখনো থেমে থেমে বৃষ্টি অব্যাহত আছে রাঙামাটিতে। টানা বৃষ্টিতে ধসে পড়েছে পাহাড়। পাহাড় ধসে বন্ধ হচ্ছে সড়ক। শুধু তাই নয়, উজান থেকে পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সড়কের চার কিলোমিটার এলাকা, ৮ কিলোমিটার, ৯ কিলোমিটার ও দুই টিলা এলাকাসহ বেশ কিছু স্থানে পাহাড়ধস হয়েছে। যার কারণে বন্ধ হয়ে যায় রাঙামাটির বাঘাইছড়ি-সাজেক ও খাগড়াছড়ি সড়ক যোগাযোগ। রাঙামাটির সাজেকে বেড়াতে আসা পর্যটকরাও আটকা পড়েছে।

সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুবর্ণ দেব বর্মণ বলেন, সাজেক সড়কের বাঘাইহাট ও মাচালংয়ের তিটিন এলাকায় পাহাড়ি ঢলের পানিতে সড়কে তলিয়ে গেছে। এ কারণে সাজেক থেকে কোনো গাড়ি ছাড়েনি। পর্যটকরা রিসোর্টেই অবস্থান করছেন। নিরাপদে আছে। সাজেকের অন্যান্য বুকিংও বাতিল করতে হয়েছে বৈরী আবহাওয়ার কারণে।

অন্যদিকে, ভারী বৃষ্টিতে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় কাচালং, বরকল উপজেলায় কর্ণফুলী, জুরাছড়ি উপজেলায় ছলক ও বিলাইছড়ি উপজেলা রেংক্যং নদীর পানি বেড়ে যায়। এতে পাহাড়ি ঢলে বেশ কিছু বাগান তলিয়ে যায় স্থানীয়দের।

খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাকসুদুর রহমান জানান, রাঙামাটির বাঘাইছড়ির মারিশ্যা ও দীঘিনালা সড়কে বেশ কয়েক স্থানে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। সড়ক থেকে মাটি সরানোর কাজ চলছে। তবে কবে নাগাদ এ কাজ শেষ হবে, তা এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। কারণ বৃষ্টিপাত অব্যাহত আছে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর