ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

বনায়নের ১০ কোটি টাকার গরমিল, বন কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত
শেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুর বনাঞ্চলের বালিঝুড়ি রেঞ্জের সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারি বনায়ন প্রকল্পের অন্তত ১০ কোটি টাকার রাজস্ব গরমিল পেয়েছে বন বিভাগ। বনের বাগান বিক্রি হলেও বিক্রির টাকা সরকারি হিসাবে জমা হয়নি। এর জন্য দায়ী করে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বনের সদ্য বদলি হওয়া বন কর্মকর্তা (রেঞ্জ অফিসার) রবিউল ইসলামকে।

অভিযোগ ওই বনায়ন প্রকল্পের টাকা মেরে দিয়েছেন তিনি। বাগান বিক্রির টাকার মধ্যে শতকরা ৬০ ভাগ টাকা সরকারের রাজস্ব, বাকি ৪০ ভাগ ওই প্রকল্পের সাথে জড়িত কয়েকশ উপকারভোগী পাহাড়ি গরিব মানুষের। চার বছর রেঞ্জার হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পর গত ২ ফেব্রুয়ারি তিনি জামালপুরে বদলি হন।

এর আগের দুই বছর তিনি ওই রেঞ্জেই দুই বছর বিট কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বদলি হওয়ার পর বিষয়টি বন বিভাগের নজরে আসলে নড়েচড়ে বসে বন বিভাগ। বন বিভাগ ঘটনার তদন্ত শুরু করে মাস খানেক আগে। তদন্তে পাঁচ সদস্য করে দুইটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি করেছে বন বিভাগ।

এদিকে অংশীদারিত্বের টাকা খোয়া যাওয়ার আশঙ্কায় আছেন উপকারভোগী শতশত পাহাড়ের মানুষ। এ ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে সরকারি ওই বন অফিসে সুবিধাভোগীরা দিনরাত ঘুরছেন। তদন্ত কমিটিও আসছে ঘনঘন।

জানা গেছে, ওই কর্মকর্তার চাকরিকালীন সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি বনায়নের দেড় শতাধিক বাগান অন্তত ১৬ কোটি টাকায় টেন্ডারে বিক্রি করা হয়। সরকারি আইন অনুযায়ী বাগান বিক্রিত অর্থ ঠিকাদার সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে গাছ কাটার অনাপত্তিপত্র নিয়ে বাগান কেটে নেবেন। জমাকৃত টাকা থেকে বন কর্তৃপক্ষ অংশীদারি জনগকে যার যার অংশ দেবে। ঠিকাদাররা বাগান কেটে নিয়ে গেছেন। কিন্ত সরকারি কোষাগারে টাকা জমা হয়নি।

সূত্র জানিয়েছে, ওই কর্মকর্তা ঠিকাদারের কাছে থেকে নির্ধারিত টাকা ব্যক্তিগতভাবে জমা নিয়ে গাছ কাটার মৌখিক অনুমতি দিয়ে দিয়েছেন। কিন্ত সরকারি তহবিলে জমা দেননি।

এদিকে, অভিযুক্ত রেঞ্জার রবিউল ইসলাম কোনো কথা বলবেন না বলে ফোন কেটে দিয়েছেন। তারপর তাকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি।

বরখাস্ত ও তদন্ত কমিটির কথা স্বীকার করে তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব সহকারী প্রধান বন সংরক্ষক সাদেকুল ইসলাম বলেন, টাকার গরমিল আছে। তবে তদন্তাধীন বিষয় নিয়ে মন্তব্য করতে তিনি রাজি হননি।

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর